সন্তান স্মার্টফোনে বুঁদ, নেশা কাটাতে যা করবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আপনার সন্তান অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে হতে পারে চোখের বড় সমস্যা। খেলায় মন নেই। দিনরাত স্মার্টফোনে বুঁদ হয়ে থাকে। কখনো দেখছে কার্টুন, আবার কখনো রিলস। এই ছোট্ট ছোট্ট আঙুলে মোবাইল স্ক্রলিং করেই কাটিয়ে দিচ্ছে সারা দিন। এ অভ্যাস মোটেও ভালো নয়। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে আপনার শিশুসন্তান শুধু চোখেই নষ্ট করছে না, এতে এডিক্টেট হয়ে যাচ্ছে। আর স্মার্টফোনে কার্টুন কিংবা রিলস দেখার ফলে ধৈর্যও হারিয়ে ফেলছে। আপনি বকাঝকা করলেও এ অভ্যাস ছাড়া সম্ভব নয়। তবে বিকল্প পথে বদভ্যাস কাটানো সম্ভব।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে আপনার শিশুসন্তানকে স্মার্টফোন থেকে বিরত রাখা যায়, তা জেনে নিই...
প্রথমত স্মার্টফোনের বদলে সন্তানের হাতে তুলে দিন ক্রাফট ক্লে। তা দিয়ে আপনি নানা জিনিসপত্র তৈরি করতে শেখান। ধীরে ধীরে আগ্রহ বাড়বে তার। সৃজনশীলতা বাড়বে। তবে কেনার আগে খেয়াল রাখতে হবে, ওই ক্রাফট ক্লে যেন নন টক্সিক হয়। তা যেন আপনার সন্তান মুখে দিলেও কোনো ক্ষতি হবে না। এছাড়া কাগজ দিয়ে সন্তানরা খেলাধুলা করতে ভালোবাসে। কাগজ দিয়ে নৌকা, প্লেন তৈরি করতে শেখান। কিংবা ফুল, ফলও তৈরি করে দিতে পারেন। তবেই বাড়বে তার সৃজনশীলতা।
আপনার সন্তান এক জায়গায় বসে থাকতে পছন্দ করে না। কারণ ওদের জীবনীশক্তি অনেক বেশি। তাই তাদের নানা কাজে ব্যস্ত রাখুন। শিশুকে ব্যায়াম করাতে পারেন। তাকে নিয়ে নাচ কিংবা গান গাইতেও পারেন। এ ছাড়া ভিন্ন ধরনের পোশাক কিনে দিতে পারেন। যেমন সুপারহিরোর মতো এমন কোনো পোশাক। ওই ধরনের পোশাক পরে খেলাধুলা করলে তার ভালো লাগবে। এতে সে মোবাইলের কথা ভুলে যাবে।
আপনার সন্তানকে রান্নাঘরে ব্যস্ত রাখতে পারেন। আপনি সবজি কাটলে তাকে সেগুলো এগিয়ে দিতে বলুন। ঘর গোছালেও তাকে পাশে রাখতে পারেন। এতে সময় কেটে যাবে। আপনার সন্তান বেশিরভাগ সময় একাকীত্বে ভোগে। সে কারণে স্মার্টফোনের ওপর ক্রমশ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। ভবিষ্যতে যাতে আপনার সন্তানের কোনো ক্ষতি না হয়, তাই উপরোক্ত টিপসগুলো কাজে লাগিয়ে স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখুন। এসব কাজ করলে স্মার্টফোনের কথা ভাবারও সময় পাবে না। আর মোবাইল থেকেও সহজে দূরে রাখা সম্ভব হবে।