শ্যামল দত্তের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০৪২ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য সঠিক নয়

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ‘শ্যামল দত্তের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০৪২ কোটি টাকা লেনদেন’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তার আইনজীবী ও ভোরের কাগজের সংবাদকর্মীরা।
তারা বলছেন, প্রতিবেদনে ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে হাজার কোটি টাকা লেনদেনের যে তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও হাস্যকর। এ ধরনের অযৌক্তিক ও বাস্তবতা বিবর্জিত প্রচারণা তার সামাজিক ও ব্যক্তিগত মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর শ্যামল দত্তের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত যে অপপ্রচার শুরু হয়েছে তা এখনো চলছে। আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সেই অপপ্রচারেরই অংশ। তিনি অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ও সজ্জ্বন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হিসেবে সমাজে পরিচিত।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্যামল দত্তের ব্যাংক হিসাবে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৪২ কোটি ৫২ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। বর্তমানে ২১ কোটি ১১ লাখ টাকা জমা রয়েছে।
ভোরের কাগজ সংবাদকর্মীদের ভাষ্য, শ্যামল দত্ত ভোরের কাগজের সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে আসীন ছিলেন। দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় অতীতে কখনো তার বিরুদ্ধে কোনো আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ শোনা যায়নি।
এখানে উল্লেখ করা আবশ্যক, শ্যামল দত্ত ব্যক্তিগত আর্থিক লেনদেনের পাশাপাশি ভোরের কাগজ, জাতীয় প্রেসক্লাবসহ দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক লেনদেনও তার স্বাক্ষরে পরিচালিত হয়েছে। ফলে বেশ কিছু ব্যাংক হিসাব পরিচালনার সঙ্গে উনার সম্পৃক্ততা অস্বাভাবিক নয়।
তার আইনজীবী বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি শ্যামল দত্তের ব্যক্তিগত লেনদেন বলে চালিয়ে দেয়া যেতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তাছাড়া যে পরিমাণ অর্থ অর্থাৎ ২১ কোটি ১১ লাখ টাকা তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সেটিও সঠিক নয়।