নেতানিয়াহু মধ্যপ্রাচ্যের জন্য বড় হুমকি: এরদোগান

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১২:০৪ পিএম

রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান এবং বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি : সংগৃহীত
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, ইরানের ওপর ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা প্রমাণ করে যে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ইহুদিবাদী দেশটি মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। খবর আল-জাজিরার।
এরদোগানের কার্যালয় জানায়, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই থামানো উচিত, তাহলে উত্তেজনা কমবে। আর পারমাণবিক সংকটের সমাধান কেবলমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব।
এরদোগান সতর্ক করে বলেন, যুদ্ধ যদি আরো বিস্তৃত আকার ধারণ করে, তবে পুরো অঞ্চলে শরণার্থীর ঢেউ সৃষ্টি হতে পারে, যা প্রতিটি দেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট একইসঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন। সেই আলোচনায় তিনি জানান, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই অঞ্চলকে আগুনে জ্বালিয়ে দিতে এবং পারমাণবিক আলোচনা বানচাল করতেই ইরানে হামলা চালাচ্ছেন।
আরো পড়ুন : হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিচ্ছে ইরান
এরদোগানের দফতর আরো জানায়, তিনি পেজেশকিয়ানকে বলেছেন, গাজায় চলমান গণহত্যা থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের মনোযোগ সরিয়ে নিতে ইরানে হামলা চালানো হচ্ছে।
এরদোইনের এ বক্তব্য মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিনে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ঘিরে চলমান উত্তেজনা নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে টেলিফোনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।
ক্রেমলিনের শীর্ষ পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ দেশটির সংবাদ সংস্থাগুলোকে জানান, পুতিন ফোনালাপে ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানান। উভয় নেতা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি।
তিনি আরো বলেন, দুই নেতার মধ্যে প্রায় ৫০ মিনিট ধরে কথা হয় এবং আলোচনাকে ‘অর্থবহ ও উপকারী’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এ ধরনের আলোচনা রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক অবস্থান ও ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক সমন্বয় নিয়ে নতুন ইঙ্গিত দিচ্ছে।