‘সাময়িক বিরতির’ মধ্যেও গাজায় মৃত্যুর মিছিল, নিহত আরো ৬৩

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩১ এএম

ছবি : সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর ‘সাময়িক যুদ্ধবিরতি’র ঘোষণা কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। একদিনের ব্যবধানে নতুন করে ৬৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্তত ৩৪ জনই ছিলেন ত্রাণ সংগ্রহের লাইনে দাঁড়ানো সাধারণ মানুষ।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার (২৭ জুলাই) গাজার খান ইউনিস, বনি সুহেলাসহ কয়েকটি এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলায় বহু মানুষ আহত হন, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়াদের উদ্ধার তৎপরতা এখনও চলছে।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, গাজার নির্দিষ্ট অংশে প্রতিদিন ‘সাময়িক যুদ্ধবিরতি’ কার্যকর থাকবে এবং নতুন মানবিক করিডোর ঘোষণা করা হয়েছে, যাতে জাতিসংঘের ত্রাণবাহী গাড়ি ও সরবরাহ নিরাপদে পৌঁছাতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এই মানবিক বিরতি কতটা কার্যকর হচ্ছে, তা নিয়ে সন্দেহ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গাজার বাসিন্দারা।
আরো পড়ুন : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনিকে হত্যার হুমকি দিলো ইসরায়েল
ইসরায়েলের দাবি, আকাশপথে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও রোববার তিন দফা এয়ারড্রপে ২৫ টন খাদ্য ও ওষুধ ফেলেছে। তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বক্তব্য, যুদ্ধ বন্ধ না করে শুধু আকাশপথে ত্রাণ পাঠিয়ে চলমান মানবিক সংকট সমাধান সম্ভব নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় অপুষ্টির হার ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রতি পাঁচ শিশুর মধ্যে একজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে, যা জুনের পর থেকে তিনগুণ বেড়েছে। সংস্থাটির মতে, ইচ্ছাকৃত ত্রাণ বাধা ও বিলম্বই এ দুর্দশার মূল কারণ।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের সঙ্গে এক বৈঠকে গাজা ইস্যুতে সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়ায় অগ্রগতির ব্যর্থতার জন্য হামাসই দায়ী। তাঁর দাবি, হামাস ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি ইস্যুতে আরো কঠোর অবস্থান নিয়েছে, ফলে সমঝোতা জটিল হচ্ছে।
অন্যদিকে, হামাস নেতা খলিল আল-হায়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, অবরোধ আর অনাহার চলতে থাকলে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির কোনো আলোচনা অর্থহীন।