সিরিয়ার উন্নয়নে সর্বোচ্চ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩১ পিএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। ছবি : সংগৃহীত
সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে এক ঐতিহাসিক বৈঠকের পর দামেস্ককে সফল করার জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১০ নভেম্বর) হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এই বৈঠককে দুই দেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে উৎখাতকারী বিদ্রোহী নেতা থেকে রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে ওঠা শারা’র জন্য এ সফর ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি বিশ্বমঞ্চে নিজেকে একজন মধ্যপন্থী নেতা হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন।
ওয়াশিংটন সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল সিরিয়ার ওপর আরোপিত কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রকে রাজি করানো। শারা ও ট্রাম্পের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের সময় মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ‘সিজার আইন’ অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ১৮০ দিনের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা দেয়। তবে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহারের ক্ষমতা কেবল মার্কিন কংগ্রেসের হাতে।
আরো পড়ুন : তেহরানে এক কোটি মানুষের দুই সপ্তাহ চলার মতো পানি আছে
উল্লেখ্য, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ চলাকালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। যদিও ওয়াশিংটন জানিয়েছে, ধাপে ধাপে এসব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা রয়েছে।
ছয় মাস আগে সৌদি আরবে দুই নেতার প্রথম বৈঠকের পর এটি তাদের দ্বিতীয় সাক্ষাৎ। তখনই ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
সোমবার শারা ওয়াশিংটনে পৌঁছালেও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য প্রচলিত প্রটোকল ছাড়াই সফরটি সম্পন্ন হয়। তবে প্রেস ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প তাকে একজন শক্তিশালী নেতা বলে প্রশংসা করেন এবং সিরিয়াকে স্থিতিশীল করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
ট্রাম্প বলেন, সিরিয়াকে সফল করার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব। একইসঙ্গে তিনি শারা’র বিতর্কিত অতীতের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমাদের প্রত্যেকেরই একটি অতীত আছে।
৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-শারা গত বছর ক্ষমতায় আসেন, যখন তার ইসলামপন্থি বাহিনী আকস্মিক হামলায় ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
রয়টার্সের মতে, বৈঠকে নিরাপত্তা ইস্যুও ছিল আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয়। ট্রাম্প প্রশাসন নীতিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে সিরিয়ার ভঙ্গুর রাজনৈতিক রূপান্তরে সহায়তা করতে চায়।
এছাড়া সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্ভাব্য নিরাপত্তা চুক্তি নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করছে। গত সপ্তাহে রয়টার্স জানিয়েছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দামেস্কের একটি বিমানঘাঁটিতে সামরিক উপস্থিতি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।
অন্যদিকে, সোমবার সামাজিক মাধ্যম এক্সে সিরিয়ার তথ্যমন্ত্রী এক পোস্টে জানান, মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইসলামিক স্টেটবিরোধী বৈশ্বিক জোটের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক সহযোগিতা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছে সিরিয়া।
