অপরাধ নির্মূলে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম । তিনি বলেন, মাদক, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি প্রতিরোধে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করুন। এসব অপরাধ দমনে জনগণের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর রূপনগর থানার স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও ধানমন্ডি থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।

এস এন মো. নজরুল ইসলাম , অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত। তবে সমাজ থেকে এসব অপরাধ নির্মূল করতে নাগরিকদের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য। তথ্য প্রদানে জনগণকে নির্ভয় থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি আশ্বাস দেন, তথ্যদাতাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে এবং তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। নাগরিকদের সচেতনতা এবং পুলিশের সহযোগিতার মাধ্যমে অপরাধমুক্ত সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েই এই আহ্বান জানানো হয়েছে।

নজরুল ইসলাম বলেন, আপনারা শুধু আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেব। যদি কোনো পুলিশ সদস্য অপরাধে জড়িত হয় এই তথ্যও দিন, তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও নিরাপদ নগরী গড়ে তুলতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই কাজ করতে জনসাধারণকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, সুনাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ববোধ রয়েছে। নিজ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য নাগরিক হিসেবে আমাদের এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। আপনারা চান জনবান্ধব পুলিশ, আমরা চাই পুলিশ বান্ধব জনগণ।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) নজরুল ইসলাম আরো বলেন, জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে যে পুলিশ থাকা প্রয়োজন তার তুলনায় পুলিশ অনেক কম। এই সীমিত পুলিশ নিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়। জনসাধারণ ও পুলিশ একসঙ্গে কাজ করলে নিরাপদ নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে ঢাকা।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে যে পরিমাণ পুলিশ প্রয়োজন, আমাদের কাছে তার তুলনায় অনেক কম সদস্য রয়েছে। এই সীমিত সম্পদ নিয়েই আমাদের কাজ করতে হয়। তিনি আরো বলেন, জনসাধারণ ও পুলিশ একসঙ্গে কাজ করলে ঢাকা একটি নিরাপদ নগরী হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। মাদক, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি প্রতিরোধে জনসাধারণের সহযোগিতা অপরিহার্য। সবার অংশগ্রহণ ছাড়া অপরাধমুক্ত নগরী প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। পুলিশের প্রতি আস্থা রেখে সবাই একযোগে কাজ করলে নিরাপদ ও সুন্দর ঢাকা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।