জিকে শামীমের সহযোগী সাবেক এমপি রতনের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
যুবলীগ নেতা বিতর্কিত ঠিকাদার জিকে শামীম সহযোগী ও সুনামগঞ্জ-১ আসনের তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের অবৈধ সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক)। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সুনামগঞ্জ পৌর শহরে থাকা তার বাড়িতে গিয়ে সেটির পরিমাপ করেন দুদকের কর্মকর্তারা।
এর আগে সোমবার তার গ্রামের বাড়ি জেলার ধর্মপাশা উপজেলার নওধার গ্রামে যান তারা। সুনামগঞ্জ-১ নির্বাচনি আসনটি জেলার ধর্মপাশা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও মধ্যনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত। ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রথম দফায় ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মোয়াজ্জেম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
সাবেক এমপি রতনের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতা বিতর্কিত ঠিকাদার জিকে শামীমের সঙ্গে সম্পর্ক, অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো কারবার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল। তখন তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।তার বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগও রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের মল্লিকপুর এলাকায় থাকা রতনের বাড়ি ‘স্পর্শ স্পন্দন ড্রিম হাউসে’ যান দুদকের অনুসন্ধান দলের কর্মকর্তারা। সঙ্গে সুনামগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীরাও ছিলেন। তারা বাড়িটি পরিমাপ করেন। এই বাড়ির নাম আগে ‘পায়েল পিউ’ ছিল। বাড়িটি পরিমাপের সময় জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির (দুপ্রক) কয়েকজন সদস্যও সেখানে ছিলেন। সোমবার একইভাবে ধর্মপাশা উপজেলার নওধার গ্রামের তার বিলাসবহুল বাড়ি ‘হাওর বাংলায়’ গিয়ে সেটির পরিমাপ করা হয়।
অনুসন্ধান টিমের সদস্য দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ ছিল। গত ৫ আগস্টের পর আরো কয়েকটি অভিযোগ দুদকে জমা হয়েছে। পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের পরিচালক আবদুল মাজেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করছে। এই দলের বাকি দুই সদস্য হলেন- দুদকের অতিরিক্ত পরিচালক গুলশান আনোয়ার ও উপসহকারী পরিচালক এলমান আহমেদ।
মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া বলেন, এর আগেও মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানা অভিযোগে অনুসন্ধান হয়েছে। সেগুলোর তথ্য দুদকে আছে। এখন সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ ও ঢাকায় অনুসন্ধান চলছে। তারা সব জায়গায় যাবেন। অনুসন্ধান শেষে দুদকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেবেন।