×

জাতীয়

ভোটের রাজনীতির প্যাঁচে ভারতে বাঙালি হেনস্তা

মুখ্যমন্ত্রী মমতার বক্তব্যে সায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদের

Icon

অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য (ঢাকা) ও ঋষি চক্রবর্তী, কলকাতা

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৭:২২ পিএম

মুখ্যমন্ত্রী মমতার বক্তব্যে সায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদের

ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে ভোট রাজনীতির প্যাঁচে পড়েছে লাখ লাখ বাঙালি। রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি তকমা দিয়ে ইতিমধ্যে দুই হাজারেরও বেশি বাঙালিকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে ভারত। বাঙালির দেশ কোনটা? বাঙালি হিন্দু নাকি রোহিঙ্গা নাকি বাংলাদেশি মুসলিম-প্রশ্নের মুখে পড়ে প্রমাণ করতে হচ্ছে বাঙালিকে। বুধবার (১৬ জুলাই) পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল এবং সিপিএম ও কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গের নেতারা বাঙালি হেনস্তার বিরুদ্ধে কলকাতার রাজপথে নেমেছে। কলকাতা হাইকোর্টও এ বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কিছু তথ্য জানতে চেয়েছে। 

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, চলতি বছরে বিহার আর আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। বিহার ভোটে বাঙালি ফ্যাক্টর না হলেও বাংলা ভাষার রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গে এর প্রভাব পড়বে। ভোটের আগে বাঙালি খেদাও মিশন আর ভারতের নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা যাচাইয়ের পদক্ষেপে বিজেপির বিরুদ্ধে বাঙালি ভোট পড়তে পারে। একারণে বাঙালিদের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দেয় হচ্ছে।

ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারত থেকে পুশইন অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে এ সংখ্যা দুই হাজারে দাঁড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ভারতীয় কাউকে পুশইন করা হলে তাদের অবশ্যই ফেরত পাঠানো হবে। 

তিনি বলেন, ভারতের নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে না। কারণ, ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এ বিষযে অসন্তোশ প্রকাশ করেছেন যে, বাংলা ভাষাভাষী মানুষকে ভারত থেকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এটা নিয়ে আমাদের বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। অবশ্যই ভারতীয় যারা আছেন, তারা ভারতে ফেরত যাবেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই। 

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের যে অ্যারেঞ্জমেন্ট আছে পুশইন তার পরিপন্থি। আমরা একাধিকবার, সম্প্রতি আবারও তাদেরকে মনে করিয়ে দিয়ে বলেছি, তোমাদের সঙ্গে আমাদের একটি সম্পর্ক আছে। আমরা দেখবো এবং আমাদের লোক হলে অবশ্যই আমরা ফেরত নেবো। 

বাঙালি হেনস্তার প্রতিবাদে বৃষ্টি মাথায় করে কলকাতায় মিছিল করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরো অনেকে। মিছিল শেষে ডোরিনা ক্রসিংয়ে মঞ্চ থেকে মমতার হুঁশিয়ারি, আরও বাংলায় কথা বলব। ক্ষমতা থাকলে আমাকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখুন। 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সব ভাষাকেই সম্মান করি। কিন্তু বাঙালির অপমান মানব না। অত্যাচার সহ্য করা হবে না। বাংলায় বহু ভাষাভাষির মানুষ বাস করেন। কিন্তু কোনওভাবেই বাংলা ভাষার অসম্মান মেনে নেয়া যাবে না। ভিনরাজ্যে বাঙালির অপমান মেনে নেয়া হবে না। 

তিনি আরো বলেন, জমিদারি নাকি? বাংলা বললেই বাংলাদেশি রোহিঙ্গা বলবেন? হেনস্তা করা হচ্ছে, যাদের সবার কাগজপত্র আছে। শুনে রাখুন, যারা এখান থেকে কাজ করতে বাইরে যান, দক্ষতা আছে বলে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। ওরা বাংলায় থাকলে অনেক ভালো থাকত। কিন্তু তারা গিয়েছে। কোন অধিকারে তাদের উপর অত্যাচার করা হবে? 

পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাধারন সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ফেসবুক ষ্ট্যাটাসে বলেন, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা নাকি সে রাজ্য থেকে বাঙালি তাড়িয়ে দেবেন। এমনই প্রচার চলছিল। তৃণমূলের যাবতীয় প্রচারে বিরক্ত হিমন্তবাবু স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আসাম সরকার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করবে এবং সে দেশে ফেরত পাঠাবে। এখন তৃণমূল কংগ্রেসকে স্পষ্ট করতে হবে, তারা বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে কী অবস্থান নেবেন? পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি জানতে চায়, বাংলাদেশিদের নকল পরিচয়পত্র বানিয়ে দেয়ার কাজ তৃণমূলের নেতারা নীচের স্তরে চালিয়ে যাবেন তো? 

এদিন কলকাতা হাইকোর্টে বাঙালিকে হেনস্তা সংক্রান্ত মামলায় বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছে। সারাদেশে একই সময়ে কেন বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হল? এটা কি পূর্বপরিকল্পিত? কেন জুন মাসকেই বেছে নেয়া হল-এমন প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রের উদ্দেশে বলে, হঠাৎ করে কেন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশি শনাক্ত করার কাজ শুরু হল? এর পিছনে কারণ কী? 

দুই বিচারপতির বেঞ্চ আরো বলেন, পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযানে যায়। একই সময়ে তল্লাশি শুরু করলেও তার পিছনে একটি কারণ থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে কী কারণ রয়েছে? পূর্ব পরিকল্পিত ভাবেই কি এটা করা হচ্ছে? অভিযোগ উঠছে, বাংলায় কথা বলার জন্য আটক করা হচ্ছে। 

কেন্দ্রের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি চক্রবর্তীর মন্তব্য, আমি অনুরোধ করব এই বিষয়টি জানানো হোক। কারণ, এটি না হলে ভুল বার্তা যেতে পারে। কোনো ভুল পদক্ষেপ হতে পারে। যেমন অভিযোগ উঠছে, বাংলায় কথা বলার জন্য আটক করে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে। তখন কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল ধীরাজ ত্রিবেদী জানান, পহেলগাঁও হামলার পরে সন্দেহজনক গতিবিধি দেখলে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। বাংলা বলেন এমন সবাইকে আটক করা হয়নি। সন্দেহবশত ১৬৫ জনকে আটক করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৫ জনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ওই ৫ জন নিজেরাই স্বীকার করেছেন তারা বাংলাদেশি। মামলায় তথ্য গোপন করার অভিযোগ তোলেন কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোককুমার চক্রবর্তী। মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তার সওয়াল, এই মামলা কলকাতা হাইকোর্ট শুনতে পারে না। একই বিষয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আগেই মামলা দায়ের হয়েছে। সেখানে মামলা বিচারাধীন। একই ব্যক্তিদের নামে এখানেও মামলা দায়ের করেছেন মামলাকারী। 

আদালতকে ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে বলেও হাইকোর্টে জানান কেন্দ্রের আইনজীবী। কেন্দ্রের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে মামলাকারীর আইনজীবীকেও ভর্ৎসনা করে আদালত। গোটা বিষয়টি আদালতে হলফনামা দিয়ে জানানোর জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। তার পরেই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয়া হবে বলে জানায় হাইকোর্ট। মামলার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আগামী ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে কেন্দ্রকে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে। আগামী ৪ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এজলাসে বলেন, মামলায় খুবই গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে। বাংলায় কথা বলার জন্য অনেককে হেনস্থা করা হচ্ছে। একই মামলা দিল্লি হাই কোর্টে বিচারাধীন থাকলে কিছু বলব না। কিন্তু মূল বিষয়টি হল কে ভারতীয় নাগরিক এবং কে নন কী ভাবে নির্ধারণ করা হল? কত জনকে আটক করা হয়েছে এবং কত জনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে তথ্য দিয়ে জানাক কেন্দ্র। কেন্দ্রের ওই আইনজীবীর উদ্দেশে কটাক্ষ করে কল্যাণ বলেন, এরপরে হয়তো দ্বিবেদি এবং ত্রিবেদীরাই থাকবে। আমাদের বলা হবে চলে যেতে।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের পর পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল, লোকসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীরা ভুয়ো ভোটার দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে জেতার অভিযোগ করেছিল। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার ভোটার তালিকা নিয়ে ঘুরে ঘুরে কয়েক হাজার ভোটারকে চিহ্নিত করে যারা অন্যান্য রাজ্যের ভোটার তালিকায় থাকার পরও পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় নাম আছে। শতাধিক বাংলাদেশিদের নামও ওই তালিকায় ছিল। কেউ ধর্ম পরিবর্তন করেছেন আবার কেউ বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে স্থানীয় সরকার পঞ্চায়েত প্রধানও হয়েছেন। 

এই ঘটনার পর বিজেপি শাসিত গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, আসাম ও ওড়িশা থেকে বাঙালিদের খুঁজে ধরে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গ পাঞ্জাব ও কেরলের মত অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো এই অভিযান করেনি। বাংলাদেশে পাঠানোদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরাও ছিলেন। যাদের বাংলাদেশ থেকে ফের ভারতে পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, অসংখ্য রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বসবাস করছে। তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামেদের দাবি, বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা খুঁজতে বাঙালির হেনস্তা করছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো। 

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথে নেমে মিছিল করে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপি বাংলার ভালো চায় না। বাঙালির ভালো চায় না। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, বাঙালি বিদ্বেষ নয় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলছে এবং একাজ করা হবে। আমার মন্তব্যে বাঙালি বিদ্বেষ ছিল না। 

বিজেপির রাজ্য নেতা তাপস মিত্রের ব্যাখ্যা, বাংলাদেশের কাজল শেখ পশ্চিমবঙ্গে এসে সাগর বিশ্বাস নাম নিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছে। বাংলাদেশ থেকে এসে মালদহ জেলার রাশিদাবাদ পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েছেন লাভলি খাতুন। ভোটার তালিকায় ভুতুড়ে ভোটার অভিযানে নেমে তৃণমূল প্রকাশ্যে এনেছে এগুলো। অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে লাভলিকে বরখাস্ত করেছে পশ্চিমবঙ্গের সরকার। কাকদ্বীপে শতাধিক বাংলাদেশি ভোটার তালিকায় নাম তুলেছে এই দাবি তৃণমূল করেছে। বিজেপি করেনি। 

তৃণমূল প্রকাশ্যে আনার পর বরং নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ করছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো পদক্ষেপ শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, বাংলায় কথা বললে রোহিঙ্গা হয়ে যাচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যে। পরে তাদের বাসস্থান ও নাগরিকত্বের খতিয়ান পেয়ে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গা এখনও প্রমাণ করতে পারেনি। 

বিজেপি সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য থেকে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করবে না। অথচ অন্য রাজ্যে বিজেপির জয় নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। নিজের রাজ্যের ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশন প্রশ্নের মুখে পড়েছে। 

পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দিতে আগস্ট সেপ্টেম্বর থেকে পদক্ষেপ শুরু করবে। এতেই ভয় পেয়েছে তৃণমূল ও বামেরা। বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাঙালিদের আটক আর বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা নিয়ে ভারতীয় খোঁজার পদক্ষেপে কয়েক কোটি কোটি পশ্চিমবঙ্গের আদি বাসিন্দা ও বাংলাদেশি বংশধররা উদ্বিগ্ন। নির্বাচন কমিশনে জন্মের শংসাপত্র নথি জমা দিতে হবে ভোটারদেরও। ১৯৮৭ থেকে পরবর্তী সময় পর্যন্ত এই নথি বহু পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে নেই। যারা নিজেদের ভারতীয় প্রমাণ করতে ব্যর্থ হবেন তারা ভোটাধিকার হারাবেন। 

রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা ও বিশ্লেষকদের একাংশ বাঙালি হেনস্তা বললেও বিজেপি এবং গোয়েন্দা সংস্থা বলছে নিরাপত্তা থ্রেট থেকে বাঁচতে এই উদ্যোগ। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে সিআইএসএফ, বিএসএফ, সিআরপিএফ। বিমানে কেউ এলে সেটিও কেন্দ্রের অসামরিক পরিবহণ মন্ত্রক দেখে। তা হলে অনুপ্রবেশ আটকানো দায়ও তাদের। এই অনুপ্রবেশের ইস্যু একেবারেই নতুন নয়। 

মোদী থেকে অমিত শাহ, তারা যখনই বাংলায় এসেছেন তখনই এই ইস্যু তুলে সরব হয়েছেন। আক্রমণ করেছেন। পাল্টা তৃণমূলের হাতিয়ার বরাবরই থেকেছে বিএসএফ। যা থাকল এই বারেও। 

মমতা যখন অনুপ্রবেশ নিয়ে বিএসএফ-এর দিকে দায় ঠেলছেন সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু অন্য চাল দিয়ে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন অনুপ্রবেশ বিএসএফ-এর দায়িত্ব। আমি বলছি, আপনি কেন্দ্রকে ৫৪০ কিলোমিটার জায়গা দেননি কেন? ২০১৬ সাল থেকে বারংবার ভারত সরকার স্বরাষ্ট্র দফতর এবং অনুরোধ করা সত্ত্বেও। আপনি বিএসএফ-কে সম্পূর্ণ জমি দিয়ে, তাতে কাঁটাতার লাগানোর সময় দিয়ে, তারপর বিএসএফ-র দিকে আঙুল তুলুন। আমরাও না হয় তখন সমর্থন করব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণের ছবি দেখাতে পারবেন না জামায়াত–শিবিরের নেতারা: ছাত্রদল

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণের ছবি দেখাতে পারবেন না জামায়াত–শিবিরের নেতারা: ছাত্রদল

বর্ষায় শিশুদের যেসব অসুখ বেশি হয়, প্রতিরোধে যা করবেন অভিভাবকরা 

বর্ষায় শিশুদের যেসব অসুখ বেশি হয়, প্রতিরোধে যা করবেন অভিভাবকরা 

ভারতীয় সিনেমায় জয়া, ক্ষোভ ঝাড়লেন তৃণমূল নেত্রী

ভারতীয় সিনেমায় জয়া, ক্ষোভ ঝাড়লেন তৃণমূল নেত্রী

কারফিউ: থমথমে পরিস্থিতি গোপালগঞ্জে

কারফিউ: থমথমে পরিস্থিতি গোপালগঞ্জে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App