গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার শঙ্কা, পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০২:১৮ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিনটি বড় অগ্নিকাণ্ডের পর সারাদেশে পুলিশের সব ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বা ‘কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন’ (কেপিআই) লক্ষ্য করে সম্ভাব্য নাশকতার আশঙ্কায় এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
শনিবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরই পুলিশ সদর দপ্তর থেকে মেট্রোপলিটন, রেঞ্জ ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ পাঠানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের টহল বৃদ্ধি, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত চেকপোস্ট স্থাপন এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও কর্মকাণ্ডের ওপর কড়া নজরদারি রাখতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিশ্লেষক অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, পরপর এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্বেগ স্বাভাবিক। বিমানবন্দর বা ইপিজেডের মতো নিরাপত্তা-সচেতন এলাকায় একের পর এক আগুনের ঘটনা স্বাভাবিক নয়। প্রতিটি ঘটনার রহস্য নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করা জরুরি।
তিনি বলেন, যথাযথ তদন্ত না হলে স্বাভাবিক দুর্ঘটনাও মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি করে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারলে তা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
কেপিআই কী?
দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোকে ‘কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন’ বা সংক্ষেপে কেপিআই বলা হয়। বর্তমানে দেশে বঙ্গভবন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জাতীয় সংসদ ভবন, বিমানবন্দর, সচিবালয়, বাংলাদেশ টেলিভিশন, কারাগার ও বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ মোট ৫৮৭টি স্থাপনা কেপিআই তালিকাভুক্ত।
এসব স্থাপনার নিরাপত্তা তদারকির জন্য সরকারের একটি বিশেষ কমিটি কাজ করে। ১৯৯৭ সালে প্রণীত কেপিআই নিরাপত্তাবিষয়ক ইংরেজি নীতিমালা ২০১৩ সালে বাংলায় হালনাগাদ করা হয়।
নীতিমালায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, নিরাপত্তা কমিটি গঠন, দর্শনার্থীদের তথ্য লিপিবদ্ধকরণ, পর্যাপ্ত আলো ও সিসিটিভি ব্যবস্থা, ভেহিকেল সার্চ মিরর, লাগেজ স্ক্যানার স্থাপন এবং প্রয়োজনে সশস্ত্র আনসার নিয়োগের নির্দেশনা রয়েছে।