×

জাতীয়

জুলাইয়ের ঐক্যে ভোটের চিড়

Icon

হরলাল রায় সাগর

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০৭ পিএম

জুলাইয়ের ঐক্যে ভোটের চিড়

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় নির্বাচনের ডামাডোলে রাজনীতির মাঠে যে উৎসবের আমেজ থাকার কথা, সেটি এখনো দৃশ্যমান নয়। বরং নানা অনিশ্চয়তা, হতাশা ও বিভাজন দিনদিন প্রকট হচ্ছে। শুরুর দিকে জুলাই সনদ নিয়ে যে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছিল, স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের দিন থেকে তা-ও অপসৃয়মান। বিশেষত, গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের দল এনসিপির বর্জনে গোটা অনুষ্ঠানের তাৎপর্যই অনেকটা ম্লান। এছাড়া পিআর পদ্ধতি ও গণভোট প্রশ্নে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের পরস্পরবিরোধী অবস্থান নির্বাচন ঘিরে সংশয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করেছে। 

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বিঘ্নে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হচ্ছে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিশিষ্ট নাগরিক সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ করেছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে নির্বাচন কর্মকর্তা ও প্রশাসনের সঙ্গেও বৈঠক অব্যাহত রয়েছে। ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণার কথা জানিয়েছে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি। ভোটার তালিকা প্রণয়ন, সীমানা নির্ধারণ, ভোটকেন্দ্র নির্ধারণসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ততায় ইসি।

অন্যদিকে নির্বাচন ঘিরে সাংগঠনিক তৎপরতা ও জনমত তৈরিতে সরব রাজনৈতিক দলগুলো। প্রার্থী মনোনয়ন, জোট ও ভোট গোছাতে মাঠের রাজনীতি এখন সরগরম। সাধারণ জনগণের মধ্যেও ভোট নিয়ে কৌত‚হলের শেষ নেই। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল হিসেবে পরিচিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটাকে নির্বাচনের দিকে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া হিসেবে উল্লেখ করেছে সরকার ও সনদে স্বাক্ষর করা রাজনৈতিক দলগুলো। সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর এই ঐক্য নির্বাচন অনুষ্ঠান পর্যন্ত অটুট থাকা না থাকা নিয়ে সংশয় বেড়েই চলেছে। কারণ, দুই দিন যেতে না যেতেই প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তব্যে অনৈক্যের সুর বেজে উঠেছে। এসব রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তী সরকার ঘনিষ্ঠ ও সমর্থক। আর এ কারণে সাধারণ মানুষ থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ, এমনকি কিছু রাজনীতিকেরও প্রশ্ন- নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হচ্ছে তো? বেশ কিছুদিন ধরে চলা এই সংশয় দূর হচ্ছে না। 

নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ৫২টি। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে। এর মধ্যে ৩০টি দল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ করে রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছায়। যদিও ৫টি দল জুলাই সনদ স্বাক্ষর থেকে বিরত রয়েছে। জাতীয় পার্টি (একাংশ) আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দেয়ায় কোণঠাসা হয়ে আছে। এছাড়া ১৪ দলীয় জোটও নিস্ক্রিয়। নির্বাচন কমিশন বলেছে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না। ফলে, বর্তমানে প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত সমমনাদের সঙ্গে জোট করে ভোটের মাঠে অবতীর্ণ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যে চার-পাঁচটি দল প্রাথমিকভাবে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছে। অন্য দলগুলোরও প্রার্থী বাছাই চলছে। সভা-সমাবেশও করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

শুক্রবার জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ফেব্রুয়ারিতেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক ঐক্যের কারণেই জুলাই সনদ স্বাক্ষর সম্ভব হয়েছে। সরকার আগামী নির্বাচনকে সেই ঐক্যের সুরে আয়োজন করতে চায়, যা আজকের জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরকে পরিচালিত করেছে, অনুপ্রেরণা দিয়েছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে আহ্বান জানান তিনি। এর আগে গত ৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন। এর পর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনি কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) ঘোষণা করেছে এবং তা বাস্তবায়নে অগ্রসর হচ্ছে।

একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দল, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, পর্যবেক্ষক, নারীনেত্রী, জুলাই যোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্ট সবার মতামত ও পরামর্শ নিচ্ছে ইসি। গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ শুরু করে ইসি। প্রথম দিন বিশিষ্ট নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষাবিদরা সংলাপে অংশ নেন। নির্বাচনে নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে গতকাল সোমবার তিন বাহিনী প্রধানসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংলাপ করেছে ইসি। 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন শনিবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সে মোতাবেক ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করা হবে। রবিবার সিলেটে এক অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে না হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সব বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে না। 

কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে এই নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে বিএনপি ও তার সমমনা দল ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী প্রথমে আপত্তি তুলেছিল। অবশ্য পরে এই অবস্থান থেকে সরে এসে ফেব্রুয়ারিতে ভোটে সমর্থন জানায় দলটি। তবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি, এর আইনগত ভিত্তি দেয়ার জন্য গণভোট, নির্বাচনের আগে নভেম্বরে গণভোট অনুষ্ঠান এবং সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে অন্যতম প্রভাবশালী দল জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনসহ ৭টি ধর্মভিত্তিক দল। পাঁচ দফা দাবিতে তৃতীয় দফায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে দলগুলো। আগামী ২৭ অক্টোবরের মধ্যে দাবি মানা না হলে দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দীর্ঘদিনের মিত্র বিএনপি ও জামায়াতের সম্পর্কে ফাটল ধরে। জামায়াত ইসলামী ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন দলের সঙ্গে সম্পর্ক ঝালাই করে। বেশ কিছু ইসলামি দল বৈরিতা ভুলে প্রথমবারের মতো এক বাক্সে ভোট আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। একই সঙ্গে আসন সমঝোতা ও জোট বাড়াতে বেশ তৎপর দলগুলো।

অপরদিকে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিরোধিতা করে আসছে বিএনপি। পাশাপাশি নির্বাচনের দিন গণভোটের কথা বললেও দলটি বলছে, জুলাই সনদের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। এছাড়া একসঙ্গে জুলাই আন্দোলন করা জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির হঠাৎ সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরে সংস্কারের আলোচনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দল দুটির অবস্থানে অনেকটাই সাদৃশ্য দেখা গেছে। কিন্তু জুলাই সনদে জামায়াতের স্বাক্ষর করা এবং এনসিপির স্বাক্ষর না করার পর সেই চিত্র যেন হঠাৎ বদলে গেল। জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা না করার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এনসিপি কেন জামায়াতের সমালোচনা করছে, তা নিয়ে কৌত‚হল তৈরি হয়েছে। এছাড়া জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে অংশ নেয়া ৩০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এনসিপি ছাড়াও সিপিবিসহ চারটি বাম দল সনদে স্বাক্ষর করেনি। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দেয়ায় যাদের আন্দোলনে সংস্কার প্রক্রিয়া, সেই জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রনেতাদের গঠিত এনসিপি স্বাক্ষর করা থেকে বিরত রয়েছে। এনসিপি নিয়ে বিএনপি বিভিন্ন বিরূপ মন্তব্য করছে। এসব কারণে জনমনে নির্বাচন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীও জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার বিষয়ে রহস্যময় অবস্থানে ছিল। পরে ঠিকই জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে দলটি। একারণে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করছেন, পিআর ও গণভোট নিয়ে যতই আন্দোলন করুক, জামায়াত শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে অংশ নেবে। 

এদিকে নির্বাচন বানচালে আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ও এর দোসর এবং ভারত ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ তোলা হচ্ছে গত এক বছর ধরে। হালে তা আরো জোরালো হচ্ছে। আবার এরই মধ্যে তিনটি বড় অগ্নিকাণ্ডকে নাশকতা হিসেবে দেখে এটিকে প্রকাশ্যে না থাকা আওয়ামী লীগের নীলকনশা বলেও অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এই অভিযোগ বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকেই হরহামেশা করা হচ্ছে। প্রকাশ্যে না থাকায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দেশের বর্তমানে সক্রিয় ও সরকার সমর্থক রাজনৈতিক দলগুলো প্রায় একই সুরে কথা বলছে। তবে হালে বিএনপি ও জামায়াত পরস্পরের বিরুদ্ধে নির্বাচন ভন্ডুল করার অপচেষ্টা করছে বলেও বিষোদগার করে আসছে, যা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। সরকারের আমলা, নির্বাচন কমিশন এবং কিছু উপদেষ্টার বিরুদ্ধেও নির্বাচন বানচাল, বিশেষ দলের পক্ষে কাজ করা এবং আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এমনকি জুলাই সনদ স্বাক্ষর ঘিরে যে ঐক্য হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে, তাতেও ভাটা পড়েছে বলে বিভিন্ন নেতার বক্তব্যে ফুটে উঠছে। 

‘রাজনীতিবিদরা ঐক্য হারিয়ে ফেলছেন’- মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অভ্যুত্থানের পরে এত বড় একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে যে, দেশটাকে আবার সুন্দর করে গড়ে তুলবার। কিন্তু আমরা চারদিকে দেখছি যে, আমাদের রাজনীতিবিদরা ঐক্য হারিয়ে ফেলছেন, অনেকে চলে যাচ্ছেন। চারদিকে দেখছি যে, একটা অনৈক্যের সুর। তখন আমরা অনেকেই হতাশ হচ্ছি।’

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর মানে এতে থাকা সব সংস্কারমূলক প্রস্তাবে একমত প্রকাশ করেছি। কিন্তু এখনো কাজ বাকি আছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। এটাকে আইনি ভিত্তি দিতে গণভোট করতে হবে। তারপর জাতীয় নির্বাচন। এজন্যই আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি।

নির্বাচন কমিশনের সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রবিবার দেশের বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে তুলে ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী প্রশ্ন তুলেছেন, দেশে বিমানবন্দরসহ নানা স্থানে অগ্নিকাণ্ড ঘটছে; মানুষেরও নিরাপত্তা নেই। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে?’ তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের কারখানা কেউ যদি জ্বালিয়ে দেয় এবং রাষ্ট্র যদি কোনো সেক্টরে নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে কীভাবে রাষ্ট্র একটা জাতীয় নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে? ভোটার তালিকা সঠিক না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। যদি নির্বাচন কমিশনাররা মনমর্জি মতো ইসি চালায়, তাহলে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ রবিবার বলেছেন, এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল কি বলেছে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায় না? জানা থাকলে বলুন। সবাই বলেছে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন চাই। যদি তাই হয়, তাইলে সংশয় থাকবে কেন? তিনি বলেন, পিআর দাবিতে আন্দোলন করছে কিছু দল, এটাই গণতান্ত্রিক চর্চা। এই গণতান্ত্রিক চর্চার জন্যই তো আমরা জীবন দিয়েছি।

জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, জুলাই ঘোষণা নিঃসন্দেহে একটি উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক পদক্ষেপ। অর্ধেকের বেশি নিবন্ধিত দলের অনুপস্থিতি এই সনদের ভিত্তি দুর্বল করে দিয়েছে। ঐক্যের পরিবর্তে অনৈক্য বিভাজনের দিকে দেশকে নিয়ে যাচ্ছে। জুলাই সনদ সকল সেক্টরে বিভাজনতন্ত্রের সূচনা করেছে।

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের বলেন, এরইমধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতিমুক্ত গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছি।

টাইমলাইন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

নির্বাচন নিরপেক্ষ করার জন্য যা দরকার করব: প্রধান উপদেষ্টা

নির্বাচন নিরপেক্ষ করার জন্য যা দরকার করব: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় যেতে হবে: মির্জা ফখরুল

অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় যেতে হবে: মির্জা ফখরুল

ওষুধ শিল্পে ৪ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা

কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড ওষুধ শিল্পে ৪ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা

এক মাস আগে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়: পুলিশ

এক মাস আগে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়: পুলিশ

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App