×

জাতীয়

বাল্যবিয়ে

শৈশব হারায়, নিরাপত্তা বিপন্ন

Icon

সেবিকা দেবনাথ

প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম

শৈশব হারায়, নিরাপত্তা বিপন্ন

ছবি : সংগৃহীত

ঘটনাটা বছরখানেক আগের। রংপুর পীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ির মেয়ে আদুরী আখতার তখন রসুলপুর মাহতাবিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে নবম শ্রেণির ছাত্রী। বাবা জাহাঙ্গীর আলম ভ্যানচালক। গত বছরের মার্চে হঠাৎই তার বাবা তার বিয়ের আয়োজন করেন। এতে রাজি ছিল না আদুরী। ১৮ বছরের আগে বিয়ে না করার পক্ষে যুক্তি তুলে আদুরী বাবাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও তা কাজে আসেনি।

নিরুপায় হয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ স্থানীয় বিভিন্নজনের কাছে অভিযোগ করে সে। প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও একপর্যায়ে এক রাতে আদুরীকে একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। তখন আদুরী মুঠোফোনে বার্তা পাঠিয়ে ঘটনা জানায় স্থানীয় উন্নয়নকর্মী জেসমিন আখতারকে।

পরে পুলিশ ও ইউএনও গিয়ে বিয়েটি বন্ধ করে দেন। ওই ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে কাজি, বর, বরের বোন ও বাড়ির মালিককে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। নিজের ভুল বুঝতে পারেন আদুরীর বাবা। এখন মেয়ের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। আদুরী বলে, আমি যদি বিয়ে করতাম, তাহলে লাইফে এগিয়ে যেতে পারতাম না। পড়াশোনা করতে পারতাম না। ওখানে আমার লাইফ শেষ হতে যেত। আমি জীবনে স্বনির্ভর হতে চাই।

আদুরীর মতো সৌভাগ্য অনেকের হয় না। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের মেয়ে লাইজু বেগম। পড়াশোনার পাশাপাশি গানের গলাটাও ছিল লাইজুর দারুণ। স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে আশপাশের সবাই বলতো সে কথা। স্কুলের এবং আশপাশের ছোটখাটো অনুষ্ঠানে গান গেয়ে অনেক পুরস্কারও পেয়েছে। সবাই বলতো, গানের চর্চাটা যেন বজায় রাখে। তাহলে বড় হয়ে ভালো শিল্পী হতে পারবে। সেই প্রশংসায় নিজেকে আরো এগিয়ে নেয়ার ইচ্ছা জাগতো তার মাঝে। কিন্তু অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা শেষে ঈদের ছুটিতে তার বিয়ে হয়ে যায় প্রবাসী মামাত ভাইয়ের সঙ্গে। শিল্পী হওয়াতো দূরের কথা নবম শ্রেণিতেও ভর্তি হওয়া হয়নি মেয়েটির। হালকা পাতলা গড়নের মেয়েটি এখন এক সন্তানের মা। লাইজু জানায়, নানীর ইচ্ছাতেই এই বিয়ে হয়েছে। লাইজু বলে, আমার স্বামী সম্পর্কে আমার মামাত ভাই। সৌদিআরব প্রবাসী। ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছিল। আমার নানী তখন খুব অসুস্থ। আমরা সবাই মামার বাড়িতে নানীকে দেখতে গিয়েছিলাম। তখন নানীই আমাদের দুজনের বিয়ের কথা বললেন। বললেন মরার আগে এই বিয়ে দেখে যেতে চান। ভালো ছেলে পেয়ে সবাই রাজি হলো। ওই বয়সে সবার বিপরীতে যাওয়ার সাহস আমার হয়নি। বিয়েটা হয়ে গেল। তিন মাস পর স্বামীও চলে গেল বিদেশে। তখন আমি প্রেগনেন্ট। সন্তান জন্মাল। পড়াশোনাটা হলো না। গান এখন গুনগুন করে গাই। 

সম্প্রতি বগুড়ার শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তৎপরতায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পায়। গ্রামের ১২ বছর বয়সী ওই মেয়েটির বিয়ের আয়োজন চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে বিয়েটি বন্ধ করে দেন। কয়েক মাস নিরব থাকার পর সেই মেয়েটিকে অন্য উপজেলায় নিয়ে গিয়ে বিয়ে দেয়া হয়। 

প্রতিনিয়তই এভাবে বাল্য বিয়ের শিকার হচ্ছেন অনেক শিশু। বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের হার অনেক বেশি। আফ্রিকার কয়েকটি দেশ ছাড়া বিশ্বের আর কোথাও বাংলাদেশের মতো এত বেশি বাল্যবিয়ে নেই। 

বিশ্বে যে কয়টি দেশে সবচেয়ে বেশি বাল্যবিয়ে হয় সেই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন অষ্টম। আর এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে। জাতিসংঘের জনসংখ্যাবিষয়ক সংস্থা-ইউএনএফপিএ-র বৈশ্বিক জনসংখ্যা পরিস্থিতি ২০২৫-বিষয়ক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৫১ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই। খুব কম বয়সে মা-ও হচ্ছেন অনেকে, যা তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী এক হাজার মেয়ের মধ্যে ৭১ জন এক বা একাধিক সন্তানের মা। বাল্যবিয়ে বেশি হওয়ার কারণে কিশোরীদের গর্ভধারণ বাড়ে। কিশোরী মা হলে তার মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে, সন্তানের মৃত্যু বা অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে। বাংলাদেশ বাল্যবিবাহ ও কিশোরী মায়ের এই দুষ্ট চক্র থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না। 

এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও ইউনিসেফের মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে (এমআইসিএস) প্রতিবেদন প্রকাশ হয় চলতি বছরের ১৬ নভেম্বর। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতি ২ জন মেয়ের মধ্যে ১ জন মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে। ২০১৯ সালের তুলনায় এ হার ৪ শতাংশ কমলেও বাল্যবিয়ে পরিস্থিতি এখনো উচ্চপর্যায়ে। দেশে এখন ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বাল্যবিয়ের হার ৬০ শতাংশ থেকে নেমে ৫৬ শতাংশ হয়েছে।

সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়, বাল্যবিয়ের সবচেয়ে বেশি পরিস্থিতি দেখা গেছে রাজশাহী বিভাগে। এ বিভাগে ১৮ বছরের আগে ৫৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ নারীর বিয়ে হয়। এর পরের অবস্থানে থাকা খুলনায় বাল্য বিয়ে হয় ৫১ দশমিক ১২ শতাংশ নারীর। আর সবচেয়ে কম বাল্যবিয়ে হয় সিলেট বিভাগে। এই বিভাগে বাল্যবিয়ের হার ১৫ শতাংশ।

চলতি বছরের ৮ মার্চ ইউনিসেফ, ইউএন উইমেন এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের একটি যৌথ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। ‘গার্লস গোলস : হোয়াট হ্যাজ চেঞ্জড ফর গার্লস? অ্যাডলসেন্ট গার্লস রাইটস ওভার ৩০ ইয়ার্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৪ শতাংশেরই বিয়ে হয়েছে ১৮ বছর হওয়ার আগে। 

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে দেশের ৩১ জেলায় ৬০ হাজার পরিবারের সঙ্গে কাজ করছে ব্র্যাক। ব্র্যাকের তথ্য অনুযয়ী, বাল্যবিয়ে নিয়ে একটা প্রচলিত ধারণা হচ্ছে- দারিদ্র্যের কারণে বাল্যবিয়ে হচ্ছে। অথবা নিরাপত্তার কারণে। এসব কারণ যেমন আছে তেমনটি আরো একটি বড় কারণ রয়েছে। ২০২২ সালে ব্র্যাকের গবেষণায় দেখা গেছে, বর পক্ষের দিক থেকে অল্পবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে করার একটা প্রবণতা আছে। আর সেই পাত্র যদি কনে পক্ষের বিবেচনায় ভালো পাত্র হয়, তাহলে তারা অল্প বয়সেই মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেয়। তারা ভালো পাত্র হাতছাড়া করতে চায় না। এই প্রবণতা উচ্চবিত্ত বা শিক্ষিত পরিবারের মধ্যেও সমানভাবে দেখা গেছে। 

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে জেলা উপজেলা পর্যায়ে কাজ করছে বিভিন্ন সংগঠন। তারা বলছেন, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করেও অনেক সময় কাজ হয় না। তখন হয়তো বিয়েটা বন্ধ করা যায়, কিন্তু কয়েকদিন পরে অন্য গ্রামে নিয়ে গিয়ে সেই বিয়েটা হয়ে যায়। সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় প্রেরণা নারী উন্নয়ন নামের একটি সংগঠন ২০২২ সালে এক পর্যবেক্ষণে দেখিয়েছে, ওই উপজেলায় এক বছরে বন্ধ করা বাল্যবিয়ের ৭৪ শাতাংশই কিছুদিন পরে আবার বিয়ে হয়েছে। ওই এক বছরে তালা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ৮৮টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছিল। এর মধ্যে ৬৫টি বিয়েই পরে হয়ে গেছে। 

সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরী বলেন, বাল্যবিয়ে মেয়েদের শিক্ষা ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতার পথ রুদ্ধ করে। নারীদের শিক্ষা থেকে ঝড়ে পরার অন্যতম কারণ বাল্যবিয়ে। এতে অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতাও বাড়ে। জন্ম নিবন্ধনের অভাবে বয়স প্রমাণ করা কঠিন হয় বলে মেয়েরা বাল্যবিয়ের শিকার হয় বলেও মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য নারীদের অদৃশ্য করে তোলে। প্রতিটি নারীর পরিচয় ও অধিকার নিশ্চিত করতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ সংশোধনের মাধ্যমে শক্তিশালী করা জরুরি। 

ধাত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, বাল্যবিয়ের কারণে নারীরা শৈশব থেকেই নানাবিধ ঝুঁকির মধ্যে পড়েন। বাল্যবিয়ের ঝুঁকিগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি ভয়াবহ। শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার আগেই তাদের গর্ভধারণ করতে হয়। ফলে মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।

বিখ্যাত ধাত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম বলেন, গর্ভধারণ ও প্রসবজনিত মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ বাল্যবিয়ে। যারা ১৫ বছরের আগে গর্ভবতী হয়, তাদের মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি ২০-এর কোঠায় থাকা নারীদের চেয়ে ৫ গুণ বেশি। সঙ্গে থাকে তাদের দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক ও সামাজিক কষ্ট। বাল্যবিয়ে এবং অপ্রাপ্ত বয়সে গর্ভধারণের ফলে শিশু মৃত্যুহারও বাড়ে। 

সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের উচ্চ হারের পেছনে যেসব কারণ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম দারিদ্র্য। এখনো অনেক পরিবারে মেয়েদের ‘বোঝা’ মনে করে। এছাড়া রয়েছে নিরাপত্তাজনিত কারণ। নারীদের একটা বড় অংশ প্রতিনিয়ত যৌন হয়রানির শিকার হন। এদিকে ইউএনএফপিএ-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের বহুমাত্রিক কারণ রয়েছে। এর মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- লিঙ্গ বৈষম্য, সামাজিক প্রথা ও অর্থনৈতিক সংকট। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সেবার অভাব- বিশেষ করে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকারের প্রতিবন্ধকতা বাল্যবিয়ের সমস্যাটিকে আরো জটিল করে তুলছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মানবিক সংকট, অস্পষ্ট আইনি কাঠামোকেও বাল্যবিয়ে বাড়ার কারণ হিসেবে দেখিয়েছে ইউএনএফপিএ।

২০১৭ সালে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন পাশ করে সরকার। আইনে প্রাপ্ত বয়স্ক কোনো নারী বা পুরুষ বাল্যবিয়ে করলে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৩ মাস কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এছাড়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক কোনো নারী বা পুরুষ বাল্যবিয়ে করলে তারক্ষেত্রে ১ মাসের আটকাদেশ, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় ধরনের শাস্তি পেতে পারেন। বাল্যবিয়ে রোধে সরকার একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনাও নিয়েছে। এই কর্মপরিকল্পনার লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে বাল্যবিয়ে নির্মূল করা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে পুরোপুরি বন্ধ করা।

জাতীয়, জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটিও করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ ও নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন ১০৯-ও চালু করেছে সরকার। তবুও বাল্যবিয়ে রোধ করা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমাদের আইনেই নানা ফাঁক-ফোকর আছে, যার সুযোগে বাল্যবিয়ে হচ্ছে। বাংলাদেশের ‘নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন’-এ স্ত্রীর বয়স যদি ১৬ বছর বা তার নীচে হয়, তাহলে তার সম্মতি বা অসম্মতিতে যেভাবেই হোক না কেন, স্বামীর যৌন সম্পর্ক ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে। কিন্তু বিয়ে টিকে থাকলে তা কীভাবে প্রতিরোধ করা যাবে? তবে আইন ও উদ্যোগ যতই থাকুক সচেতনতার বিকল্প নেই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

পুলিশের ১৩৬ ইন্সপেক্টরকে একযোগে বদলি

পুলিশের ১৩৬ ইন্সপেক্টরকে একযোগে বদলি

আবারও ভূমিকম্প

আবারও ভূমিকম্প

চীনের সঙ্গে উত্তেজনা না বাড়াতে জাপানকে পরামর্শ দিলেন ট্রাম্প

চীনের সঙ্গে উত্তেজনা না বাড়াতে জাপানকে পরামর্শ দিলেন ট্রাম্প

কড়াইল বস্তির বাতাসে দীর্ঘশ্বাস

কড়াইল বস্তির বাতাসে দীর্ঘশ্বাস

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App