ডাকসুর রাজনীতি ছাত্র-স্বার্থকেন্দ্রিক হওয়া উচিত : ব্যারিস্টার শাহেদুল আজম

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৯ পিএম

জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)-এর সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার শাহেদুল আজম। ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সামনে রেখে ছাত্ররাজনীতির উদ্দেশ্য, ভূমিকা ও করণীয় বিষয়ে মতামত দিয়েছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)-এর সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার শাহেদুল আজম।
তিনি মনে করেন, ডাকসুকে আবার শিক্ষার্থীদের আস্থার জায়গায় ফিরিয়ে আনতে হলে দলীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে ছাত্রকল্যাণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, এন-ডি-এম চেয়ারম্যান জননেতা ববি হাজ্জাজ শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই নন, বরং তিনি ছাত্রসমাজের প্রকৃত অভিভাবক। তিনি সবসময় ছাত্রদের কথা ভাবেন, তাদের সমস্যা ও অগ্রগতির বিষয়ে সরাসরি যোগাযোগ রাখেন এবং তাদের পাশে থাকেন। তরুণ প্রজন্মকে জাতীয় নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যেই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থীর জন্য তিনি আন্তরিক শুভকামনাও জানিয়েছেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ব্যারিস্টার শাহেদুল আজম বলেন, ছাত্ররাজনীতি সর্বাগ্রে হওয়া উচিত ছাত্রদের ন্যায্য দাবি ও স্বার্থকে কেন্দ্র করে। জাতীয় রাজনীতিতে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অবশ্যই রয়েছে, তবে পদ-পদবীর জন্য সংঘাত নয় বরং গবেষণা, উদ্ভাবন এবং শিক্ষার্থীদের মানবিক বিকাশকে কেন্দ্র করেই ছাত্ররাজনীতি এগোতে হবে।
তিনি বলেন, ডাকসু দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। মুক্তিসংগ্রাম ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রসমাজের অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে যদি এটিকে কেবল ক্ষমতার রাজনীতির মঞ্চে পরিণত করা হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা প্রকৃতভাবে উপকৃত হবে না। ডাকসুর প্রধান কাজ হওয়া উচিত একাডেমিক পরিবেশ উন্নয়ন, গবেষণা ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা এবং শিক্ষার্থীদের মুক্তচিন্তা ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানো।
শিক্ষার্থীদের সমস্যার সমাধানই ডাকসুর আসল দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনকার সমস্যা ও সংকটের প্রসঙ্গ টেনে ব্যারিস্টার শাহেদুল আজম বলেন,
ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা বা দলীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত সমস্যাগুলোর সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। আবাসন সংকট, স্বাস্থ্যসেবা, মানসম্মত শিক্ষা, আধুনিক গবেষণাগার এবং নতুন জ্ঞানচর্চার সুযোগ তৈরি—এসব বিষয়ে উদ্যোগ নিলে ডাকসু শিক্ষার্থীদের আস্থার জায়গায় ফিরে আসতে পারবে।”
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আরো বলেন ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষা, গবেষণা, সাংস্কৃতিক চর্চা ও মানবিক বিকাশকে রাজনীতির অংশ হিসেবে দেখতে হবে। রাজনৈতিক মতভেদ থাকতেই পারে, তবে তা যেনো সহিংসতায় রূপ না নেয়। তরুণ প্রজন্ম যদি দায়িত্বশীলভাবে নেতৃত্ব দেয়, তাহলে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ হবে জ্ঞানভিত্তিক, মানবিক ও সৃজনশীল।