ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যারিস্টার শাহেদুল আজমের হুঁশিয়ারি
মারুফ সরকার, নিজেস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫৬ পিএম
ছবি : ভোরের কাগজ
রাজবাড়ী-২ আসনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলমান গুঞ্জন ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম)। দলটির নেতারা বলেছেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অগ্রণী কণ্ঠ এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিনকে নিয়ে পরিকল্পিত অপপ্রচার চলছে, যা গণমানুষের কণ্ঠ স্তব্ধ করার অপচেষ্টা ছাড়া কিছু নয়।
এ বিষয়ে এনডিএম সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার শাহেদুল আজম বলেন, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতে পারে, কিন্তু তা হতে হবে শিষ্টাচারের মধ্যে। আমাদের মহাসচিব মোমিনুল আমিন ভাইকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, তা গণমানুষের কণ্ঠ রোধের অপচেষ্টা। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, এই কণ্ঠ কখনোই ধামাচাপা দেওয়া যায় না।
শাহেদুল আজম বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান জননেতা ববি হাজ্জাজ সবসময় স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আপোষহীন ছিলেন। আমরা দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। যারা এই নোংরা খেলায় নেমেছে, তাদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই—নোংরা রাজনীতির যুগ শেষ, এখন সময় এসেছে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর।
রাজবাড়ী-২ আসনের প্রেক্ষাপটে ব্যারিস্টার শাহেদুল আজম বলেন, এই অঞ্চলের মানুষ জানে, মোমিনুল আমিন ভাই টানা ১৭ বছর ধরে রাজপথে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছেন। তিনি কেবল এনডিএম নয়, বরং গণমানুষের প্রতিনিধি হিসেবে সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
তিনি এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিনের ফেসবুক স্ট্যাটাসের উদ্ধৃতি দেন, যেখানে মোমিনুল আমিন লিখেছেন- জীবনে এক ঘণ্টার জন্যও আমি আওয়ামী লীগ বা তাদের কোনো সহযোগী সংগঠনের সদস্য ছিলাম না। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে, আমি হাসিমুখে রাজনীতি ছেড়ে দেব। কোটা সংস্কার আন্দোলনের যেসব নেতা আজ জাতীয় নেতৃত্বে, তাঁদের অনেকেই একসময় ছাত্রলীগের পদধারী ছিলেন। কিন্তু তাঁরা লেজুরবৃত্তিক রাজনীতি নয়, বরং ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন।
তিনি লেখেন, আমার প্রোফাইলে থাকা সরকারি দায়িত্ব পালনকালে তোলা কিছু ছবি বিকৃতি করে যারা আমাকে আওয়ামী লীগ বানাতে চায়, তারা মূলত তাদের প্রিয় অভিভাবকের মনোনয়ন ফেরত পাওয়ার আশায় চরিত্রহননের নোংরা খেলায় নেমেছে। আমি তাদের প্রতি সমবেদনা জানাই। এই ধরনের অপপ্রচারের আইনি প্রতিকার রয়েছে। আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে—রাজপথ, টকশো ও ঐকমত্য কমিশনে দেয়া বক্তব্যই তার সাক্ষ্য। যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে, তারা সফল হবে না। ইনশাআল্লাহ দেখা হবে বিজয়ে।
ব্যারিস্টার শাহেদুল আজম শেষ বক্তব্যে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, অন্ধকারের এই সময় কেটে যাবে। গণমানুষের বিজয়ের মালা জনগণই পরাবে—আর রাজপথই হবে তার সাক্ষ্য।
