×

রাজনীতি

দুই দলই দুষছে সরকারকে

Icon

হরলাল রায় সাগর

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:১০ পিএম

দুই দলই দুষছে সরকারকে

ছবি : সংগৃহীত

রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক, আলোচনা-সমালোচনা শেষই হচ্ছে না। বিশেষ করে রাজনৈতিক অঙ্গনে বাকযুদ্ধ চলছেই। সরকারের তরফে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের ঘোষণা এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারি হলেও অসন্তোষ মেটেনি প্রভাবশালী দুই পক্ষ- বিএনপি ও জামায়াতের। বিএনপির চাওয়া ছিল, আগামী জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট অনুষ্ঠান। আর জামায়াতের দাবি ছিল, আদেশ জারির মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনিভিত্তি দেয়া ও নির্বাচনের আগে গণভোট।

অন্তর্বর্তী সরকার দুই পক্ষকেই সন্তুষ্ট করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবুও উভয় পক্ষই এখনো সরকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলছে। তবে সরকারকে এভাবে চাপে রেখে দাবি আদায়ে বা আপস করাতে রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশল বলে মনে করছেন অনেকেই। 

এদিকে সরকার ঘোষিত ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে রাজনৈতি অস্থিরতা তত বাড়ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহনশীলতা না আসায় উৎকণ্ঠা ও উদ্বিগ্ন দেশের মানুষ। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক সহিংসতা শুরু হয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে জেনমনে যে শঙ্কা, তা দূর হচ্ছে না। সরকারও বারবার বলছে, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। গতকাল যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী ব্যারোনেস জেনি চ্যাপম্যান সাক্ষাতে গেলে  প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সময়মতোই নির্বাচন হবে এবং তা হবে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক’। 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট হবে একই দিনে। বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এই সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক থেকে এই ধন্যবাদ জানানো হয়। তবে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারিতে আপত্তি জানিয়েছে দলটি। উল্টোদিকে আদেশ জারিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে জামায়াতসহ আট দল। পাশাপাশি একই দিনে নির্বাচন ও গণভোটের আপত্তি তুলেছে দলগুলো। অবশ্য এই দুটি বিষয়ে আগে থেকেই পরস্পরবিরোধী কঠোর অবস্থানে রয়েছে উভয় পক্ষ।  

জামায়াতে ইসলামী আটটি ইসলামী দল নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর নভেম্বর মাসে গণভোট আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা; ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা- এই পাঁচ দফা দাবি তাদের। এর মধ্যে জুলাই সনদের আইনিভিত্তির আদেশ ১৩ নভেম্বর জারি করে পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার।

অন্যদিকে বিএনপি ও তার অনুসারী দলগুলোর দাবি ছিল- জাতীয় নির্বাচনের দিন আলাদা ব্যালটে গণভোট আয়োজন করা। পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের বিরোধিতা করে আসছে দলটি। একই সঙ্গে জুলাই সনদের বাইরে এর বাস্তবায়নের সুপারিশ নিয়েও ঘোরতর আপত্তি তুলে সরকারের ওপর বিরক্তি ও পক্ষপাতিত্বে অভিযোগ তোলে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সরকারের প্রস্তাব একপেশে, জবরদস্তিমূলক ও জাতির সঙ্গে প্রতারণার শামিল বলে অভিযোগ করেছিল বিএনপি।   

রাষ্ট্র সংস্কারের অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিবন্ধিত ৫২টি রজৈনৈতিক দলের মধ্যে (৩১ অক্টোবর পর্যন্ত) ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ৯ মাস বৈঠক করে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি করে। রাজনৈতিক সমঝোতার দলির হিসেবে পরিচিত এই সনদ গত ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হয়। এতে স্বাক্ষর করে ২৫টি দল। তবে ছাত্রনেতৃত্ব থেকে গড়ে ওঠা জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি, যারা জুলাই সনদের দাবিটি প্রথম তুলেছিল তারা সনদে সই দেয়নি। একই সঙ্গে রাষ্ট্রের মূলনীতি পরিবর্তন করার প্রতিবাদে সনদে সই দেয়নি সিপিবিসহ চারটি বামপন্থি দলও। সনদে বিএনপিসহ কিছু দল ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট দেয়। এরপর থেকেই জুলাই সনদ নিয়ে বিতর্ক ওঠে। চরম অনৈক্য দেখা দেয় দলগুলোর মধ্যে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশন বৈঠক করেও সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি।

অবশেষে গত ২৮ অক্টোবর সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সংবলিত সুপারিশমালা প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করে ঐকমত্য কমিশন। এই সুপারিশ নিয়ে বড় পক্ষ দুটি শুধু মুখোমুখি অবস্থান নেয়নি, ঐকমত্য কমিশন ও সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছে। এতে রাজনৈতিক সংকট, নির্বাচনে অশ্চিয়তার পাশাপাশি সরকারে উদ্বেগ ও অস্থিরতা তৈরি হয়। গত ১ নভেম্বর আইন উপদেষ্টা বলেছিলেন- রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ তীব্রতম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, যা হতাশাজনক। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে জুলাই সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন নিয়ে সমাধানে পৌঁছানোর আহ্বান জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। গত ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, রাজনৈতিক দলগুলো যদি এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গণভোট ও নির্বাচন একই দিনে অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করা হয়।

এছাড়া আরো কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ সূচক হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। এই প্রতিনিধিরা একই সঙ্গে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরিষদ তার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে। সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। এর মেয়াদ হবে নিম্নকক্ষের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত। এর মধ্যে উল্লেখিত ইস্যুগুলো নিয়েও বিপরীতমুখী জামায়াত ও বিএনপি। সরকারকেও দোষারোপ করা হচ্ছে- বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দিচ্ছে সরকার। স্বাক্ষরিত জুলাই সনদ প্রধান উপদেষ্টা  লঙ্ঘন করেছেন বলেও অভিযোগ তোলে বিএনপি। 

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর বৃহস্পতিবার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, গত ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় যে জুলাই জাতীয় সনদ প্রধান উপদেষ্টা নিজে স্বাক্ষর করেছেন, সেটা তিনি লঙ্ঘন করেছেন তার ভাষণের মাধ্যমে। সরকারের প্রকাশিত জুলাই সনদ গেজেটের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সনদের বিস্তর ফারাক রয়েছে।

গতকাল শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, মনে রাখতে হবে, গণভোটের মধ্য দিয়ে আইন প্রণয়ন করা ও সংবিধান সংশোধন হয়ে যাবে না। এর জন্য আগে অবশ্যই জাতীয় সংসদ গঠিত হতে হবে। আমরা চাই আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান হোক। জুলাই জাতীয় সনদ যেভাবে স্বাক্ষরিত হয়েছে, তা প্রতিপালনে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেন দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সার্বভৌমত্ব কোনোভাবে ক্ষুণ্ন হোক, তা তারা চান না। সেজন্য কোনো আরোপিত আইন দিয়ে, আদেশ দিয়ে, জবরদস্তিমূলক প্রস্তাব দিয়ে জাতীয় সংসদের সার্বভৌমত্বের ওপর কোনো হস্তক্ষেপ তারা করতে দেবেন না। কারণ বাংলাদেশে একমাত্র হাউস, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সার্বভৌম হাউস। যে হাউসের যে কোনো আলাপ-আলোচনা কার্যক্রম আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যায় না। সেই জাতীয় সংসদের সার্বভৌমত্বকে ডিকটেট করানোর মতো কোনো প্রস্তাব কোনো আরোপিত বিষয় থাকতে পারে না। দেশে একটি দল ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়ে ব্যবসা করছে বলেও মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।

জামাত ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের গতকাল আট দলের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জাতি ভেবেছিল সরকার সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার বক্তৃতায় দেখা গেছে, কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাদ গেছে এবং একটি দলের আপত্তি মেনে সরকার বড় ধরনের কম্প্রোমাইজ করেছে।’ 

তিনি বলেন, সংস্কার কমিশন গণভোটে একটা প্যাকেজে ‘হ্যাঁ’, ‘না’ ভোট নেয়ার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু সেই প্যাকেজকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেটি জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে জটিলতার মধ্যে ফেলে দেবে। এই অবস্থায় আট দলের দাবি হলো- এ বিভাজন বিএনপির ‘নোট অব ডিসেন্ট’ মানানোর কৌশল; এটি কমিশনের নীতির বাইরে এবং রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট। গণভোট ও নির্বাচন একই দিনে ঘোষণা করা আসলে ‘সংস্কারকে চাপা দেয়ার ফাঁদ’। সরকার একটি দলের ফাঁদে পা দিয়েছে এবং সংস্কারকে প্রায় গুরুত্বহীন করেছে।

সরকার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) তৈরির ব্যাপারে আদৌ মনোযোগী নয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

ড. তাহের অভিযোগ করেন, সরকার এখন নিরপেক্ষ অবস্থানে নেই। কমপক্ষে তিনজন উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টাকে ভুল পথে পরিচালিত করছেন। তাদের অপসারণ ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এই উপদেষ্টাদের সহযোগিতায় একটি বিশেষ দলের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে দলীয় প্রশাসনে রূপান্তরের চেষ্টা চলছে। এই তিনজনের নাম প্রধান উপদেষ্টাকে দিবেন। কোনো ব্যবস্থা নেয়া না হলে তাদের নাম প্রকাশ করে দিবেন। ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ এই সরকার দিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ব্যাপারে আমাদের ভেতরে যথেষ্ট শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয় তাহলে দেশের জন্য আরো বেশি বিপর্যয় এবং অন্ধকার ভবিষ্যতে অপেক্ষা করছে। অনতিবিলম্বের গণভোটের জন্য আলাদা তারিখ ঘোষণা, তিনজন উপদেষ্টাকে অপসারণ এবং প্রশাসনে নিরপেক্ষ ও সৎ লোক নিয়োগ দেয়ার দাবি জানান তিনি। 

সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমেই সংস্কার বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে, যা আট দলের দীর্ঘদিনের দাবি- এজন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান তিনি। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

ডেঙ্গুতে আরো ৫ জনের মৃত্যু

ডেঙ্গুতে আরো ৫ জনের মৃত্যু

নির্বাচনের সময় যতদিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

নির্বাচনের সময় যতদিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

যুদ্ধ নয়, স্বচ্ছতার নতুন যুগ: ড্রোন প্রযুক্তিতে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের রূপরেখা

যুদ্ধ নয়, স্বচ্ছতার নতুন যুগ: ড্রোন প্রযুক্তিতে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের রূপরেখা

ঢাকা-১৭ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রবাসী কাজী এনায়েত উল্লাহ

ঢাকা-১৭ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রবাসী কাজী এনায়েত উল্লাহ

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App