পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শীতের তীব্রতা দিন দিন আরো বেড়ে চলেছে। ভোরের কনকনে হিমেল হাওয়া ও জমে থাকা অতিরিক্ত আর্দ্রতা স্থানীয়দের কাঁপিয়ে দিচ্ছে। রাতের তীব্র ঠান্ডা ইতোমধ্যে জনজীবনে ভোগান্তি সৃষ্টি করেছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ডিসেম্বরের শুরুতেই এই অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যেখানে বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। এর আগের দিন মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস—যা ছিল মৌসুমের অন্যতম কম তাপমাত্রা। সোমবার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ধারাবাহিক এই ওঠানামা শীতের অনুভূতিকে আরও তীব্র করেছে।

আরো পড়ুন : পঞ্চগড়ে জেঁকে বসছে শীত, তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত নামতে শুরু করেছে এবং ডিসেম্বরের শুরুতে শীত আরো বাড়তে পারে। এ সময় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

ময়দানদিঘী এলাকার ব্যবসায়ী মখলেছার রহমান জানান, ভোরে দোকান খোলার পর হাত-পা জমে আসে। সরাসরি ঠান্ডা হাওয়া লাগায় কাজ করতেও অসুবিধা হয়। তিনি বলেন, লোকজনও সকাল সকাল বের হয় না, ব্যবসাতেও এর প্রভাব পড়ছে।

চাকলাহাট এলাকার কলেজছাত্রী বলেন, সকালে কলেজে যেতে বেশ কষ্ট হয়। বাসা থেকে বের হলেই মনে হয় বরফের বাতাস লাগছে। আমাদের এলাকায় শীত সবসময়ই একটু বেশি।

রিকশাচালক দেলোয়ার হোসেন জানান, ঠান্ডার কারণে ভোর থেকে যাত্রী কম থাকায় আয়ে কমে গেছে। লোকজন বের হয় না, তারপরও তো কাজ করতে হবে। তাই মোটা কাপড় পরে রিকশা চালাই।