টেস্টের অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন শান্ত!

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১০:৩৭ এএম

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ক্রিকেটে আবারও নেতৃত্ব পরিবর্তনের ইঙ্গিত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষেই টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নাজমুল হোসেন শান্ত। গলে ধারাবাহিকভাবে দুটি সেঞ্চুরি করলেও সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এই বাঁহাতি ব্যাটার।
বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, শান্ত সিদ্ধান্ত অনেকটাই চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) জানানোর অপেক্ষা।
শান্তর এক ঘনিষ্ঠজন ক্রিকবাজকে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি না, তবে আমার বিশ্বাস শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর সে আর টেস্ট অধিনায়ক থাকবে না। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা তাকে খুব অস্বস্তিতে ফেলেছে।’
জানা গেছে, এক বছরের জন্য শান্তকে টেস্ট দলের দায়িত্ব দেওয়ার পর তিনি তার ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
সম্প্রতি ওয়ানডে ফরম্যাটের অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল হোসেন শান্তকে সরিয়ে দিয়েছে বিসিবি। তার জায়গায় এসেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এর আগে শান্ত নিজেই টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হতে। সেইসময় বোর্ডকেও জানিয়েছিলেন, তিনি টেস্ট ও ওয়ানডে দল চালাতে চান।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদনের ভাষ্য, শান্ত একসময় সব ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন, কিন্তু তৎকালীন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদই টেস্ট ও ওয়ানডে দলে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে বলেন। কেবল টি-টোয়েন্টি ছেড়ে দিতে বলেন, ব্যাটিংয়ে মনোযোগ বাড়ানোর স্বার্থে। তবে গত ১২ জুন শান্তকে না জানিয়েই ওয়ানডেতে নতুন অধিনায়ক করা হয় মেহেদি হাসান মিরাজকে।
এক জরুরি জুম বৈঠক শেষেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ক্রিকবাজ তাদের খবরে উল্লেখ করেছে, এই সিদ্ধান্তের সময়ে প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের সঙ্গে দল নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল শান্ত। কিন্তু ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিমের ফোনকলের পর শান্ত আর সিমন্সের সঙ্গে বৈঠক করেননি।
বোর্ডের সূত্রগুলোর দাবি অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্ত শান্তর জন্য ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। কারণ তিনি আগামীতেও ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং শ্রীলঙ্কা সফর ঘিরে কয়েকজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে আলোচনায় নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে ওয়ানডে দলের কাঠামোর প্রেক্ষাপটে খেলোয়াড়দের তাদের ভূমিকা সম্পর্কেও ধারণা দিয়েছিলেন।
যদিও বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল পরবর্তীতে বলেছিলেন, শান্তর অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হয়নি। বরং বোর্ডের সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকি শান্ত নিজেও খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতায় এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছিলেন বোর্ড সভাপতি।