ভারতের কুম্ভমেলায় অদ্ভুত যেসব সাধু বাবা

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

কাগজ ডেস্ক : ভারতে উত্তরপ্রদেশে শুরু হয়েছে ৪৪ দিনব্যাপী কুম্ভমেলা। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা। সেই মেলা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মহাকুম্ভ আয়োজিত হচ্ছে প্রয়াগরাজে।
সেই উপলক্ষে ঢেলে সাজানো হয়েছে উত্তরপ্রদেশের সেই শহরকে। এ বছরের মহাকুম্ভে ৪৫ কোটিরও বেশি ভক্তের সমাগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদের মতো মহাকুম্ভে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেলাস্থলে জড়ো হতে শুরু করেছেন অনেক সাধু-সন্ন্যাসী। ‘অ্যাম্বাসেডর বাবা’, ‘চাওয়ালা বাবা’ থেকে শুরু করে ‘পরিবেশ বাবা’ অনেক অদ্ভুত নামের সাধুও জড়ো হয়েছেন।
‘অ্যাম্বাসেডর বাবা’, ‘চাওয়ালা বাবা’ থেকে শুরু করে ‘পরিবেশ বাবা’ অনেক অদ্ভুত নামের সাধুরাও জড়ো হয়েছেন। কিন্তু কেন এমন অদ্ভুত অদ্ভুত নাম? একনজরে দেখে নেয়া যাক। জেনে নেয়া যাক তাদের নামের মাহাত্ম্য।
‘অ্যাম্বাসেডর বাবা’ : তালিকার প্রথমেই রয়েছেন ‘অ্যাম্বাসেডর বাবা’। ৫০ বছরেরও বেশি বয়সি ওই সাধু মধ্যপ্রদেশের ইনদোরের বাসিন্দা।
রবিবার মহাকুম্ভে এসেছেন তিনি। কিন্তু কেন এ রকম নাম তার? কারণ, সর্বদাই ১৯৭২ সালের একটি অ্যাম্বাসেডর গাড়িতে ভ্রমণ করেন তিনি। ‘ভিনটেজ’ সেই গাড়ি গত ৩০ থেকে ৩৫ বছর ধরে তার সঙ্গী।
পরিবেশ বাবা : মহামণ্ডলেশ্বর অবধূত বাবা, যিনি ‘পরিবেশ বাবা’ নামেও পরিচিত। তিনি নিজেই জানিয়েছেন তার নামের কারণ। ‘পরিবেশ বাবা’র দাবি, সনাতন ধর্ম দুটি গাছ রোপণ করতে উৎসাহিত করে। একটি শেষকৃত্যের জন্য এবং একটি অক্সিজেনের জন্য। ‘পরিবেশ বাবা’র কথায়, আমি এ পর্যন্ত ৮২টি আচার পালন করেছি। প্রায় ৩০টি দেশজুড়ে থাকা আমার ভক্তরা আমাদের দেশে ১ কোটিরও বেশি গাছ লাগানোর জন্য প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। ২০১৬ সালে, বৈষ্ণোদেবী থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত পদযাত্রার সময়, আমরা ২৭টি রাজ্যে গাছ লাগিয়েছিলাম। তখন থেকেই ভক্তরা আমাকে ‘পরিবেশ বাবা’ বলে ডাকতে শুরু করে।
রুদ্রাক্ষ বাবা : নিরঞ্জনী পঞ্চায়েতি আখড়ার সাধু দিগম্বর অজয় গিরি ভক্তকুলের কাছে পরিচিত ‘রুদ্রাক্ষ বাবা’ নামে। তিনিও মহাকুম্ভের জন্য প্রয়াগরাজে পৌঁছেছেন। অজয় গিরির শরীরে মোট ১১ হাজার রুদ্রাক্ষ রয়েছে। আর সে কারণেই তার এই নাম।
রাবড়ি বাবা : তালিকায় রয়েছেন পঞ্চায়েতি আখাড়া মহানির্বাণীর সাধু ‘রাবড়ি বাবা’। তার আসল নাম শ্রীমহন্ত দেবগিরি।