×

ভ্রমণ

ক্রিট: ইউরোপীয় সভ্যতার জন্মভূমি || সময়, সাগর ও মানুষের গল্প

রহমান মৃধা, সুইডেন থেকে

রহমান মৃধা, সুইডেন থেকে

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৪০ পিএম

ক্রিট: ইউরোপীয় সভ্যতার জন্মভূমি || সময়, সাগর ও মানুষের গল্প

ক্রিট দ্বীপে লেখক রহমান মৃধা ও তার সহধর্মিণী মারিয়া

ভূমধ্যসাগরের হৃদয়ে বিস্তৃত ক্রিট (Crete) কেবল একটি দ্বীপ নয়—এটি যেন সভ্যতার প্রথম নিশ্বাস, মানবতার প্রারম্ভিক গাথা। এখানেই প্রায় চার হাজার বছর আগে বিকশিত হয়েছিল মিনোয়ান সভ্যতা (Minoan Civilization), যা মানব ইতিহাসে প্রথম নগরসভ্যতা হিসেবে স্বীকৃত। খ্রিস্টপূর্ব ২৭০০ থেকে ১৪৫০ সালের মধ্যে গড়ে ওঠা এই সভ্যতা ছিল উন্নত নগর পরিকল্পনা, নান্দনিক স্থাপত্য যেমন কনোসোস প্যালেস, সুবিন্যস্ত অর্থনীতি, নারী–পুরুষের সমঅধিকার এবং শিল্প–সংস্কৃতির দীপ্ত বিকাশের এক জীবন্ত দলিল।

আজও ক্রিট আমাদের মনে করিয়ে দেয়—সভ্যতা মানে কেবল ইট-পাথরের নিপুণতা নয়, বরং মানুষ ও প্রকৃতির, সংস্কৃতি ও নৈতিকতার এক সুরেলা সহাবস্থান। এখান থেকেই ইউরোপের শিল্প, রাজনীতি, দর্শন ও নান্দনিকতার সূচনা। গবেষকদের কাছে ক্রিট যেন এক জীবন্ত সময়যন্ত্র, যেখানে ইতিহাস ও ভবিষ্যৎ হাত ধরাধরি করে হাঁটে। মিনোয়ানদের জীবনযাপন, প্রকৃতির সঙ্গে তাদের সহাবস্থান, আজকের পরিবেশ–চেতনারও এক প্রাচীন প্রেরণা। আজকের ক্রিট তাই কেবল অতীতের প্রতীক নয়, এটি এক জীবন্ত সংস্কৃতি ও কূটনীতির সেতুবন্ধন—যেখানে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আসে, দেখে, শেখে এবং মুগ্ধ হয়ে ফিরে যায়।


হানিয়া — সময়, সাগর ও সভ্যতার মিলনবিন্দু

ক্রিটের পশ্চিমে অবস্থিত হানিয়া শহর যেন ইতিহাস ও প্রকৃতির এক মায়াবী কবিতা। নীল ভূমধ্যসাগরের তীরে দাঁড়িয়ে থাকা এই শহর বহন করছে প্রাচীন গৌরব, ভেনিসীয় স্থাপত্যের সৌন্দর্য এবং গ্রিক আতিথেয়তার উষ্ণতা। একসময় এটি ছিল মিনোয়ান নগর কাইডোনিয়া, পরে রোমান, বাইজান্টাইন, ভেনিসীয় ও ওসমান শাসনের ছোঁয়ায় হয়ে ওঠে এক বহুসংস্কৃতির জীবন্ত জাদুঘর।

ভেনেশিয়ান হারবার-এ দাঁড়িয়ে যখন বাতাসে নোনা গন্ধ মেশে, ঢেউ এসে পুরনো ঘাটে ধাক্কা খায়—মনে হয় সময় যেন এক মুহূর্তের জন্য থেমে গেছে। হানিয়া-র ওল্ড টাউন ইউরোপের সবচেয়ে মোহনীয় পুরনো শহরগুলোর একটি। সরু পাথরের গলি, রঙিন জানালার বারান্দা, দেয়ালে ঝুলে থাকা বোগেনভিলিয়া ফুল—সব মিলে যেন ইতিহাস, প্রেম ও রোমাঞ্চের এক চিরন্তন ক্যানভাস। এখানে হাঁটলে মনে হয়, অতীত ও বর্তমান পাশাপাশি হাঁটছে, একে অপরকে ছুঁয়ে।

শহরের কাছেই এলাফোনিসি, ফালাসার্না ও বালোস হ্রদ —বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর সৈকতগুলোর মধ্যে অন্যতম। ফিরোজা জল, গোলাপি বালু আর পাহাড়ি বাতাস মিলে গড়ে তোলে এক স্বপ্নলোক। শহরের ভেতরেই রয়েছে মিউনিসিপাল গার্ডেন —যেখানে কবুতর, পাখি ও মানুষ শান্তির এক মেলবন্ধনে থাকে।

হানিয়া-র খাবারে আছে আত্মার ছোঁয়া। তাজা জলপাই তেল, পাহাড়ি মধু, স্থানীয় ওয়াইন ও সাগরের মাছ—প্রতিটি পদেই যেন ভূমধ্যসাগরের সরলতা ও আন্তরিকতা। এখানে প্রতিটি মুখে হাসি, প্রতিটি আতিথ্যে ভালোবাসা—মনে হয় শহরটি যেন ফিসফিস করে বলে, “হানিয়া শুধু দেখার নয়, অনুভবের জায়গা।”

এই শহর শেখায়—কীভাবে ঐতিহ্যকে ধারণ করে আধুনিকতার সঙ্গে বাঁচতে হয়। হানিয়া এক সাংস্কৃতিক সংলাপের শহর, যেখানে পূর্ব ও পশ্চিম, ইতিহাস ও বর্তমান, মানুষ ও প্রকৃতি—সব একসঙ্গে সহাবস্থান করে।


প্রতিদিনের মতো আজ আমরা, আমি আর আমার সহধর্মিণী মারিয়া, ক্রিটের হৃদয়ে অবস্থিত রেথিমনো শহরটি ঘুরতে বেরিয়েছিলাম—একটি দিন যা কেবল ভ্রমণ নয়, ছিল সময়, ইতিহাস আর মানুষের সৌন্দর্যের এক জীবন্ত অভিজ্ঞতা। সকালে সূর্য উঠতেই আমরা যাত্রা শুরু করি। বাতাসে নোনা সাগরের ঘ্রাণ, চারপাশে পাহাড় আর সমুদ্রের নীলের মেলবন্ধন—মনে হচ্ছিল, এই শহরটিকে কেবল দেখা যায় না, অনুভব করতে হয়।

শহরে পৌঁছেই প্রথম গন্তব্য ছিল ফোর্তেজা দুর্গ—একটি ভেনিসীয় দুর্গ, যা পাহাড়চূড়ায় দাঁড়িয়ে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে প্রহরীর মতো শহরটিকে রক্ষা করে আসছে। উপরে উঠে চারপাশে তাকাতেই চোখে পড়ল নীচে বিস্তৃত রেথিমনোর ছাদ, সমুদ্রের নীল জল আর দূরের পর্বত। সূর্যের আলো প্রাচীরের পাথরে নরম সোনালি আভা ফেলছে, আর বাতাসে ভেসে আসছে সমুদ্রের মৃদু সুর। আমরা অনেকক্ষণ চুপচাপ বসে রইলাম। মারিয়া বলল, “এখানে সময় থেমে গেছে মনে হয়।” আমি হেসে বললাম, “হয়তো সময়ই এখানে একটু বিশ্রাম নিতে এসেছে।”

এরপর আমরা নেমে গেলাম ভেনেশিয়ান হারবার-এর দিকে। পুরনো পাথরের ঘাট, সারি সারি রঙিন ঘর, আর সাগরের ঢেউয়ের শব্দ—সব মিলিয়ে এক রোমান্টিক আবহ। আমরা এক ক্যাফেতে বসলাম, সামনে কফি আর এক গ্লাস ঠাণ্ডা রাকি। বাতাসে ভেসে আসছে সংগীতের সুর, পাশে মাছ ধরার নৌকা দুলছে জলে। সেই মুহূর্তে মনে হলো, পৃথিবীর যত তাড়া, যত কোলাহল—সব হারিয়ে গেছে এই ছোট্ট বন্দরের প্রশান্তিতে।

দুপুরে গেলাম রিমোনদি ফোয়ারা-এর দিকে। ১৭শ শতকের এই ভেনিসীয় ফোয়েন্টেইনের সামনে দাঁড়িয়ে মনে হলো, ইতিহাস এখনো এখানে বয়ে চলেছে জলের মতোই শান্ত আর নিরবধি। ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে আমরা কিছুক্ষণ বসে থাকলাম। পুরনো শহরের দেয়াল থেকে ভেসে আসছে ফুলের গন্ধ আর মানুষের হাসির আওয়াজ—এক অপূর্ব মিশ্রণ।

এরপর আমরা হাঁটতে লাগলাম রেথিমনোর ওল্ড টাউনে। সরু গলি, জানালায় ঝুলে থাকা ফুল, ছোট দোকান আর রঙিন দরজা—সবকিছু যেন এক স্বপ্নের মতো। প্রতিটি মোড়ে মনে হয়, এখানেই হয়তো কোনো পুরনো প্রেমের গল্প রেখে গেছে সময়। মারিয়া থেমে বলল, “এই শহরটা যেন নরমভাবে কথা বলে।” আমি মৃদু হেসে উত্তর দিলাম, “হয়তো সে আমাদের গল্পও শুনছে।”

পুরনো শহরের ভেতরেই আমরা গেলাম নেরাতে মসজিদে এক অনন্য স্থান, যা একসময় ছিল ভেনিসীয় চার্চ এবং পরে পরিণত হয় ওসমানীয় মসজিদে। এখন এটি একটি সংগীত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানস্থল। আমরা সেখানে ঢুকে দেখলাম, ভেতরে একজন স্থানীয় সংগীতশিল্পী বাঁশি বাজাচ্ছেন—তার সুর পুরো ঘর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে, গম্বুজের নিচে প্রতিধ্বনি হয়ে যেন ইতিহাসের হৃদয়ে ফিরে যাচ্ছে। মারিয়া মুগ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল, আমি দেখলাম তার চোখে এক শান্ত আলো। এই শহরের মতোই—গভীর, ধীর, অথচ জীবন্ত।


বিকেলের দিকে আমরা রওনা দিলাম আর্কাদি মনাস্টেরি-এর পথে। পাহাড়ি পথ বেয়ে যেতে যেতে মনে হচ্ছিল আমরা সময়ের ভেতর দিয়ে এগোচ্ছি। ১৮৬৬ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতিতে ভরা এই মঠ আজও ক্রিটবাসীর আত্মার প্রতীক। প্রাচীরের গায়ে হাত রেখে আমি অনুভব করলাম, সাহস ও আত্মত্যাগ কখনো মুছে যায় না; ইতিহাসের মতো, তা রয়ে যায় মানুষের হৃদয়ে।

ফিরে এসে আমরা বন্দরের ধারে বসলাম, সূর্য তখন অস্ত যাচ্ছে। সোনালি আলো ঢেউয়ের ওপর নাচছে, বাতাসে ভেসে আসছে সাগরের নোনা ঘ্রাণ। টেবিলে তাজা মাছ, অলিভ তেল, মিজিথরা পনির আর এক গ্লাস স্থানীয় ওয়াইন—খাবারের সঙ্গে যেন মিশে গেল শহরের আত্মা। আমি বললাম, “এই স্বাদটা শুধু জিহ্বায় নয়, মনে গেঁথে থাকবে।” মারিয়া হেসে উত্তর দিল, “রেথিমনো খাওয়া যায় না, এটা অনুভব করা যায়।”

রাত নেমে এলো ধীরে ধীরে। শহরের গলিতে ছোট ছোট বাতি জ্বলছে, সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে পাখির ডাক। আমরা হাঁটতে হাঁটতে আবার বন্দরের ধারে এলাম। চারপাশে শান্তি, তবু এক ধরনের জীবন্ত স্পন্দন। মনে হচ্ছিল, শহরটি ঘুমাচ্ছে না—বরং আমাদের দিকে তাকিয়ে নরমভাবে হাসছে।

আজকের দিনটি যেন জীবনের এক পাঠ হয়ে রইল। রেথিমনো শিখিয়েছে, ইতিহাসকে শুধু দেখা নয়, অনুভব করতে হয়; ভালোবাসা প্রকাশ নয়, উপলব্ধি করতে হয়। আমি আর মারিয়া যখন হোটেলের পথে ফিরছিলাম, মনে হচ্ছিল এই শহর আমাদের হৃদয়ে একটি নরম আলো জ্বেলে দিয়েছে—এক আলো, যা বলে দেয়, জীবনের সৌন্দর্য কখনো তাড়াহুড়োয় নয়, বরং সেই নীরব মুহূর্তগুলোতেই লুকিয়ে থাকে, যেখানে সময় থেমে যায়, আর ভালোবাসা নিঃশব্দে শ্বাস নেয়।

জেরানি — নীরবতার মধ্যে হৃদয়ের ছুটি

হানিয়া শহর থেকে একটু দূরে, সমুদ্রের ধারে ছোট্ট গ্রাম জেরানি। শহরের কোলাহল থেকে দূরে এই জায়গা যেন আত্মার আশ্রয়স্থল। আমি ও আমার সহধর্মিণী মারিয়া উঠেছিলাম কার্ডিয়াক রিসোর্ট Hotel-এ—নামের মতোই এটি সত্যিকার অর্থে হৃদয়ের বিশ্রামের জায়গা।

প্রতিদিন সকালে সাগরের ঢেউয়ের শব্দে ঘুম ভাঙে। বারান্দা খুললেই নীল সমুদ্র, যেখানে সূর্যোদয়ের আলো পানির উপর ছড়িয়ে পড়ে। স্নান মানে এখানে শুধু শরীর ধোয়া নয়—এ যেন মন ধোয়ার এক প্রক্রিয়া। জেরানি-র ঠাণ্ডা কিন্তু স্নিগ্ধ জলে সাঁতার কাটতে কাটতে মনে হয় সমুদ্র যেন সমস্ত ক্লান্তি আর সময়ের ভার মুছে দিচ্ছে।

বিকেলের নীরবতা আরও মায়াময়। সৈকতের বালুতে হাঁটা, বই পড়া, অথবা শুধু চোখ বন্ধ করে থাকা—জেরানি-তে সময় থেমে থাকে। এখানে কোনো তাড়া নেই, কোনো ভিড় নেই, আছে শুধু বাতাস, জল আর একান্ত নিজেকে খুঁজে পাওয়ার প্রশান্তি।

খাবারেও আছে সেই সরলতার সৌন্দর্য। প্রতিদিন সাগরের নানা রকম তাজা মাছ খেয়েছি—গ্রিল, ভাজা, স্ট্যু—সব রূপেই। কিন্তু সবচেয়ে অনন্য অভিজ্ঞতা ছিল অলিভ কাঠে গ্রিল করা ছাগলের মাংস। রান্নার পদ্ধতিটিও যেন শিল্প—মাংস ম্যারিনেট করে আগুনের পাশে ঝুলিয়ে রাখা হয়, চারপাশে কাচের সিলিন্ডার, নিচে গরম পানি, উপরে আগুনের ধোঁয়া। তাপ, ধোঁয়া ও বাষ্পের মিশেলে তৈরি হয় এমন স্বাদ, যা কেবল জেরানি-তেই সম্ভব।

অক্টোবরের ক্রিট এক শান্ত সুরের ঋতু। দিনে হালকা রোদ, রাতে ঠাণ্ডা ছোঁয়া—পর্যটকের ভিড় নেই, প্রকৃতি আরও আপন। বাতাসে জলপাই গাছের গন্ধ, দূরে পাহাড়ের ছায়া, আর সাগরের নোনা স্বাদ মিলে যেন এক নীরব কবিতা।

আজ জেরানি গ্রাম ঘুরতে গিয়ে দেখলাম—আঙ্গুর, কমলা আর অলিভ গাছের সারি, গরু-ছাগল-ভেড়ার খামার। যেন এক গ্রামীণ ছন্দ, অনেকটা বাংলাদেশের পুরনো দিনের গ্রামের মতো। হাঁটতে হাঁটতে কিনে আনলাম ছাগলের মাংস। বহু বছর পর রান্না করলাম স্থানীয় মসলা দিয়ে—স্বাদে তেমন হয়নি, তবুও তৃপ্তি ছিল, কারণ সেটি ছিল নিজের হাতে তৈরি। গ্রিকরা এখনো পরিবার নিয়ে খায়, হাসে, সময় কাটায়—যেন বাংলাদেশের সেই হারানো যৌথ জীবনের এক ঝলক।

ছুটি মানেই বিশ্রাম, কিন্তু আমার জন্য এটি আত্মার পুনর্জাগরণ। সাগরে স্নান, হাঁটাহাঁটি, ছবি তোলা—সব মিলিয়ে যেন জীবনকে আবার ছুঁয়ে দেখা। আমি চেষ্টা করি যা দেখি, যা অনুভব করি, তা ভাগ করে নিতে—যেন নতুন প্রজন্ম জানে, জীবনটা আসলে বাঁচার জন্য, অনুভবের জন্য।


কার্ডিয়াক রিসোর্ট — হৃদয়ের পুনর্জাগরণ

কার্ডিয়াক রিসোর্ট-এ সকাল মানে পাখির ডাক, গাছের সবুজ, আর সাগরের মৃদু ঢেউয়ের সুর। এখানে নীরবতাও যেন জীবন্ত। রাতে তারাভরা আকাশ যখন সাগরের উপর ঝরে পড়ে, মনে হয় পৃথিবী এখনও সুন্দর—শুধু তাকিয়ে দেখতে জানতে হয়।

এই সফর কেবল একটি ভ্রমণ নয়—এটি এক মানসিক পুনর্জন্ম। আমরা প্রকৃতির সঙ্গে, একে অপরের সঙ্গে, নিজের অন্তরের সত্তার সঙ্গে নতুন করে সংযুক্ত হয়েছি। জেরানি আমাকে শিখিয়েছে—ভালোবাসা শব্দে নয়, শান্তিতে বাস করে; জীবনের সৌন্দর্য গতি নয়, স্থিরতার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে।

ক্রিট ইউরোপীয় সভ্যতার উৎস, হানিয়া তার প্রাণ, আর জেরানি সেই হৃদয়ের নীরব স্পন্দন। এখানে সময় থেমে থাকে না, বরং ধীরে বয়ে যায়—যেখানে ইতিহাস মিশে যায় নীল জলে, আর মানুষ খুঁজে পায় নিজের অস্তিত্বের শান্ত প্রতিধ্বনি।

বিদায় নেওয়ার সময় মনে হলো—আমি কিছু নিয়ে যাচ্ছি না, বরং রেখে যাচ্ছি কিছু শান্তি, কিছু নীরব হাসি, আর এক অমলিন ভালোবাসার ঋতু—জেরানির হৃদয়ে।

রহমান মৃধা, গবেষক ও লেখক, সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন, [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

কম্প্রোমাইজ নয়, নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা

কম্প্রোমাইজ নয়, নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা

‘আমরা চাই, আপনার সঙ্গে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সুসম্পর্ক বজায় থাকুক’

‘আমরা চাই, আপনার সঙ্গে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সুসম্পর্ক বজায় থাকুক’

ক্রিট: ইউরোপীয় সভ্যতার জন্মভূমি || সময়, সাগর ও মানুষের গল্প

ক্রিট: ইউরোপীয় সভ্যতার জন্মভূমি || সময়, সাগর ও মানুষের গল্প

জুলাই সনদ, নাগরিক সচেতনতা এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ

জুলাই সনদ, নাগরিক সচেতনতা এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App