×

ভ্রমণ

চীন-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক বিনিময়

সাংহাইয়ের পর্দা ও স্বপ্নের সংযোগ

Icon

এস এম নাজমুল হক ইমন

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৫৬ এএম

সাংহাইয়ের পর্দা ও স্বপ্নের সংযোগ

সাংহাইয়ের পর্দা ও স্বপ্নের সংযোগ

সাংহাই-চীনের স্পন্দিত হৃদয়, শিল্প ও আধুনিকতার সমান্তরাল মঞ্চ। এই শহর কেবল অর্থনৈতিক শক্তির প্রতীক নয়, বরং সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণেরও এক জীবন্ত সাক্ষ্য। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চীন তার সংস্কৃতিকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেছে চিত্রকলা, সংগীত, সাহিত্য কিংবা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। আর সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে উজ্জ্বল দিক হলো- বাংলাদেশ ও চীনের সাংস্কৃতিক বিনিময়, যার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে সাংহাইয়ের চলচ্চিত্র উৎসব ও সৃজনশীল প্রেক্ষাপট। এই ফিচারটির লক্ষ্য শুধু অভিজ্ঞতা বর্ণনা নয়; বরং চলচ্চিত্র, সংস্কৃতি, সফট ডিপ্লোমেসি এবং মানবিক বন্ধনের জটিল কিন্তু সুন্দর এক চিত্র তুলে ধরা- যেখানে সাংহাই ডিজনিল্যান্ডের স্বপ্নময়তা আর চলচ্চিত্র উৎসবের বাস্তবতা মিলেমিশে তৈরি করেছে এক অনন্য গল্প।

চলচ্চিত্র উৎসব: দুই দেশের বন্ধুত্বের পর্দা

চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ২০২৩ সালে ঢাকায় আয়োজিত হয় ‘চীন-বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’। উৎসবের মূল উদ্দেশ্য ছিল- দুই দেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি এবং চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বন্ধুত্বের বার্তা ছড়িয়ে দেয়া। চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী দিনে প্রদর্শিত হয় চীনা পরিচালক ফ্রান্ট গুওর The Wandering Earth II যা বিজ্ঞানভিত্তিক কাহিনী হলেও তুলে ধরে মানবতার এক সার্বজনীন সংগ্রাম। অন্যদিকে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেখানো হয় মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর Saturday Afternoon ও রুবায়েত হোসেনের Made in Bangladesh যেখানে উঠে আসে নারী শ্রমজীবী মানুষের আত্মপ্রতিষ্ঠার গল্প। চলচ্চিত্র উৎসবের পর চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছিলেন, ‘চলচ্চিত্র হলো এমন এক জানালা, যা দিয়ে আমরা একে অপরের সমাজ ও সংস্কৃতিকে দেখতে পারি। চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব এই জানালার আলোয় আরও উজ্জ্বল হবে।’ উৎসবের একটি বিশেষ আয়োজন ছিল যৌথ কর্মশালা Asian Film Collaboration Lab, যেখানে তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতারা শিখেছেন গল্প বলার কৌশল, আন্তর্জাতিক কো-প্রোডাকশন, ও ডিজিটাল চলচ্চিত্র প্রযুক্তি। বাংলাদেশি অংশগ্রহণকারী তরুণ পরিচালক সায়েম ইসলাম বলেন, ‘চীনের ফিল্ম একাডেমিতে শেখার সুযোগ পেয়ে বুঝেছি, তারা সিনেমাকে রাষ্ট্রীয় ব্র্যান্ডের মতো ব্যবহার করে। আমাদেরও শিখতে হবে কিভাবে সংস্কৃতিকে অর্থনৈতিক শক্তিতে রূপান্তর করা যায়।’

সাংহাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব: এশিয়ার সিনেমাটিক অরোরা

চীনের সাংহাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (Shanghai International Film Festival – SIFF) ১৯৯৩ সালে শুরু হয়। এখন এটি বিশ্বের শীর্ষ দশটি চলচ্চিত্র উৎসবের একটি। প্রতিবছর প্রায় ১২০টিরও বেশি দেশ থেকে ২,০০০-এর বেশি চলচ্চিত্র জমা পড়ে। এই উৎসবের বিশেষত্ব হলো- এটি শুধু চলচ্চিত্র প্রদর্শন নয়; এটি সংস্কৃতি ও সহযোগিতার এক চলমান সংলাপ। উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা Golden Goblet Awards এ দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর অংশগ্রহণ ক্রমেই বাড়ছে। ২০২২ সালে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র Rehana Maryam Noor বিশেষ প্রদর্শনী বিভাগে স্থান পায় এবং প্রশংসা কুড়ায় চীনা সমালোচকদের কাছ থেকে। চীনের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সাংহাই উৎসবে South Asian Film Panorama নামে একটি বিভাগ খোলা হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মালদ্বীপের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। এর লক্ষ্য আঞ্চলিক গল্পগুলোকে বৈশ্বিক দর্শকের কাছে পৌঁছে দেয়া। এবারের উৎসবের অন্যতম আলোচিত বিষয় ছিল Screening Asia’s Future যেখানে চীনা ও বাংলাদেশি তরুণ নির্মাতারা যৌথভাবে ১২ মিনিটের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি তৈরি করেন, নাম Bridges Beyond Border। ছবিটি দুই দেশের বন্ধুত্ব ও সাংস্কৃতিক সংযোগের প্রতীক হয়ে ওঠে।

সাংস্কৃতিক নীতি ও সফট ডিপ্লোমেসির পরিধি

চীনের সাংস্কৃতিক বিনিময় নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে আছে People-to-People Exchange অর্থাৎ জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব। এটি বাস্তবায়ন করে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ও শিক্ষা সহযোগিতার মাধ্যমে। বর্তমানে বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে দুটি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে হাজারের বেশি শিক্ষার্থী চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি শিখছেন। অন্যদিকে, চীনে এখন গড়ে উঠছে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র যেখানে প্রদর্শিত হচ্ছে বাংলাদেশের হস্তশিল্প, পোশাক, সংগীত ও সিনেমা। সাংহাইয়ের Belt and Road Cultural Corridor প্রকল্পে বাংলাদেশের শিল্পীদের নিয়মিত অংশগ্রহণ এরই ধারাবাহিকতা। চীন এখন সফট ডিপ্লোম্যাসিকে রাষ্ট্রীয় নীতির উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তারা বিশ্বাস করে, সংস্কৃতির মাধ্যমে বন্ধুত্ব দীর্ঘস্থায়ী হয়। আর বাংলাদেশও সেই দর্শনে আস্থা রাখছে। বিদেশে রাষ্ট্রীয় ইমেজ নির্মাণে চলচ্চিত্র এখন অন্যতম হাতিয়ার। সংস্কৃতি বিশ্লেষক অধ্যাপক মোনায়েম সরকার বলেন, ‘চীন যেমন তার ঐতিহ্য ও প্রযুক্তিকে একসূত্রে বেঁধে বিশ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছে, বাংলাদেশও তেমনি তার চলচ্চিত্র ও সাহিত্য দিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অবস্থান শক্ত করছে। দুই দেশের এই সহযোগিতা আগামী দশকে আরও বিস্তৃত হবে।’

সাংহাই ডিজনিল্যান্ড: কল্পনা, প্রযুক্তি ও পরিচয়ের মেলবন্ধন

চলচ্চিত্র উৎসবের ব্যস্ত সূচির ফাঁকে আমি পা রাখি সাংহাই ডিজনিল্যান্ডে এশিয়ার সবচেয়ে বড় থিম পার্কগুলোর একটি। প্রবেশদ্বারে মিকি মাউসের হাসিমুখ যেন বলে দেয়, ‘স্বপ্ন এখানে বাস্তব হয়।’ কিন্তু এই পার্ক শুধুই বিনোদনের জায়গা নয়; এটি চীনের সাংস্কৃতিক পরিকল্পনার এক সাফল্যের উদাহরণ। ডিজনি যখন প্রথম সাংহাইয়ে পার্ক স্থাপনের অনুমতি পায়, চীন শর্ত দেয় স্থানীয় সংস্কৃতির উপাদান অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ফলে পার্কের প্রতিটি থিমে দেখা যায় চীনা নান্দনিকতা। Gardens of Imagination এর ড্রাগন ভাস্কর্য, Mulan’s Legend থিয়েটার, কিংবা Treasure Cove এর জলদস্যু কাহিনী সবকিছুতেই আছে চীনা ঐতিহ্যের ছোঁয়া। আমি যখন Pirates of the Caribbean: Battle for the Sunken Treasure রাইডে উঠলাম, অনুভব করলাম এটি শুধু প্রযুক্তিনির্ভর বিনোদন নয়, বরং গল্প বলার এক অসাধারণ মাধ্যম। চোখে পড়লো চীনা পরিবারগুলো দাদা-নাতি একসঙ্গে আনন্দ করছে, তাদের মুখে হাসি, চোখে বিস্ময়। এ অভিজ্ঞতা আমাকে ভাবায়, চীন কীভাবে তার সাংস্কৃতিক সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রেখে বিশ্বায়নের অংশ হয়েছে। ডিজনিল্যান্ডে তারা প্রমাণ করেছে, বিদেশি ব্র্যান্ডও স্থানীয় সংস্কৃতির বাহক হতে পারে, যদি সঠিকভাবে অভিযোজন করা যায়। অর্থনীতিবিদদের মতে, সাংহাই ডিজনিল্যান্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা স্থানীয় পর্যটন শিল্পে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এনেছে। কিন্তু এর চেয়েও বড় সাফল্য চীনা সংস্কৃতির আন্তর্জাতিক দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি।

সাংস্কৃতিক সংযোগে তরুণ প্রজন্ম

চীন ও বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম এখন সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মূল চালিকাশক্তি। সাংহাই ফিল্ম একাডেমিতে বর্তমানে কয়েকজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও সিনেমাটোগ্রাফি বিষয়ে পড়ছেন। তাদের একজন রিদওয়ান হোসেন বলেন, ‘সাংহাইয়ে আমি শিখেছি কীভাবে একটি গল্প বৈশ্বিক দর্শকের জন্য রূপান্তরিত করা যায়। চীনা সিনেমায় প্রযুক্তি যতটা শক্তিশালী, মানবিক গল্পও ততটাই গভীর।’ অন্যদিকে চীনের তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা লিন ওয়েই বাংলাদেশের লোককাহিনী অবলম্বনে তৈরি করছেন The Boatman’s Dream নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নদী ও মানুষের জীবন আমার কাছে কবিতার মতো। আমি চাই চীনের দর্শকও সেই সৌন্দর্য অনুভব করুক।’ এই পারস্পরিক সহযোগিতা শুধু শিল্পের বিনিময় নয়; এটি এক নতুন সাংস্কৃতিক রাজনীতির ইঙ্গিত যেখানে সীমান্ত নয়, মানবিকতা নির্ধারণ করে সংযোগের পথ।

অর্থনৈতিক প্রভাব ও সাংস্কৃতিক পর্যটন

চীন এখন সাংস্কৃতিক পর্যটনের নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। সাংহাইয়ের ফিল্ম সিটি ও ডিজনিল্যান্ড এই দুই কেন্দ্র প্রতি বছর প্রায় ৩ কোটি পর্যটক আকর্ষণ করে। বাংলাদেশও পর্যটন শিল্পে সাংস্কৃতিক থিম অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী। পরিকল্পনা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে Cine Village গড়ে তোলার চিন্তা চলছে, যা চীনের সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালিত হবে। চীনা পর্যটন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা এখন অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এক দেশ অন্য দেশের সংস্কৃতি দেখতে আসে এটিই সফট ট্রেডের নতুন ধারণা। সাংহাইয়ের ডিজনিল্যান্ড বা চলচ্চিত্র উৎসবের সাফল্য তাই শুধু সাংস্কৃতিক নয়, অর্থনৈতিক দিক থেকেও অনন্য।

চলচ্চিত্র উৎসবের মানবিক দিক

চলচ্চিত্র কেবল শিল্প নয়, এটি সামাজিক বার্তার বাহক। ২০২৪ সালের সাংহাই উৎসবে প্রদর্শিত বাংলাদেশের Ajob Karkhana ছবিটি দেখার পর এক চীনা দর্শক বলেন, ‘এই সিনেমা আমাকে বুঝিয়েছে, শ্রমিকের জীবন চীন হোক বা বাংলাদেশ-সংগ্রাম এক।’ আসলে এটাই চলচ্চিত্র বিনিময়ের সবচেয়ে বড় অর্জন মানুষকে একে অপরের জীবন বোঝাতে শেখানো। চীনের চলচ্চিত্র তত্ত্ববিদ হুয়াং চি-লিন বলেন, ‘বাংলাদেশের সিনেমায় বাস্তবতা আছে, যা চীনা দর্শকের আবেগকে স্পর্শ করে। দুই দেশের চলচ্চিত্র একে অপরকে পরিপূর্ণ করে।’

সাংস্কৃতিক ভবিষ্যৎ: এক উজ্জ্বল পথচলা

চীন-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক সম্পর্ক এখন ঐতিহাসিক উচ্চতায়। শিক্ষা, চলচ্চিত্র, সংগীত, সাহিত্য সব ক্ষেত্রে চলছে সহযোগিতা। ২০২৫ সালের জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে China-Bangladesh Art Bridge একটি যৌথ উদ্যোগ, যেখানে দুই দেশের শিল্পীরা মিলিতভাবে কাজ করবেন ডিজিটাল আর্ট, ডকুমেন্টারি ও ভার্চুয়াল প্রদর্শনীতে। বাংলাদেশে চীনা সংস্কৃতি উৎসব যেমন জনপ্রিয় হচ্ছে, তেমনি চীনের তরুণ প্রজন্মও এখন বাংলাদেশের সঙ্গীত শুনছে, খাবার চেখে দেখছে, এমনকি বাংলা শব্দ শিখছে। সাংহাইয়ের Yuyuan Cultural Plaza তে এখন নিয়মিত বাজে ‘আমার সোনার বাংলা’ এর চাইনিজ অনুবাদ, যা প্রতীক হয়ে উঠেছে এক অনন্য বন্ধুত্বের।

ডিজনিল্যান্ডের সূর্যাস্তে উপলব্ধি

ডিজনিল্যান্ডে শেষ বিকেলে, যখন সূর্য অস্ত যাচ্ছে, আর আকাশে ভেসে আসছে আতশবাজির আলো, তখন মনে হয় এই আলো শুধু বিনোদনের নয়, এটি বোঝাপড়ার প্রতীক। শিশুরা একসঙ্গে হাসছে, বিদেশি ও স্থানীয় মানুষ একই সারিতে দাঁড়িয়ে আছে এ যেন সংস্কৃতির প্রকৃত রূপ, যেখানে সবাই অংশীদার। চীন তার সংস্কৃতিকে বিশ্বমঞ্চে উপস্থাপন করতে পেরেছে বলেই সাংহাই আজ কেবল অর্থনৈতিক নয়, নান্দনিক শক্তিরও রাজধানী। আর বাংলাদেশ সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিখছে- কীভাবে সংস্কৃতিকে রাষ্ট্রীয় অগ্রগতির অবিচ্ছেদ্য অংশ করা যায়।

আলো, পর্দা ও বন্ধুত্ব

চলচ্চিত্র উৎসবের সোনালি রিল আর ডিজনিল্যান্ডের আলোকচ্ছটা- দুটি দিক, দুটি ভাষা কিন্তু একটাই লক্ষ্য: সংযোগ। চীন-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক বিনিময় এখন এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে, যেখানে চলচ্চিত্র ও বিনোদন একসাথে গড়ে তুলছে পারস্পরিক বোঝাপড়ার সেতু। সাংহাইয়ের রাত্রি যখন নীল আলোয় ভরে ওঠে, মনে হয় এই শহর যেন দুই দেশের বন্ধুত্বের প্রতীক, যেখানে প্রতিটি আলো বলে, ‘আমরা একে অপরকে বুঝি, সম্মান করি, এবং একসাথে এগিয়ে যাই।’ যেমন ডিজনিল্যান্ডের শিশুরা হাত ধরাধরি করে হাঁটে, তেমনি হয়তো একদিন বাংলাদেশ ও চীনও সংস্কৃতির পথে এমনই এক বন্ধুত্বে হাঁটবে-যেখানে পর্দার ওপারে থাকবে মানবতার এক আলোকিত গল্প।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সাংহাইয়ের পর্দা ও স্বপ্নের সংযোগ

চীন-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক বিনিময় সাংহাইয়ের পর্দা ও স্বপ্নের সংযোগ

বিমানবালা খাদিজা সুলতানা শিমুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

হানি ট্র্যাপের অভিযোগ বিমানবালা খাদিজা সুলতানা শিমুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

ফের কমল স্বর্ণের দাম

ফের কমল স্বর্ণের দাম

ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত, প্রকাশ সোমবার : ইসি সচিব

ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত, প্রকাশ সোমবার : ইসি সচিব

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App