প্রেমিকা বা স্ত্রী বয়সে বড় হলে সুবিধা ও অসুবিধা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০০ পিএম
প্রেম ভালোবাসা বা বিয়ে যে কোনো বয়সেই হতে পারে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে সবাই ভাবে যে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলেদের থেকে বয়সে ছোট হবে এটায় স্বাভাবিক। কারণ বয়সের ধারণাটি দেশের সমাজব্যবস্থাই তৈরি করে দিয়েছে।
নিজের থেকে বয়সে বড় এমন একজন নারীর প্রেমে যে কেউই পড়তে পারেন, তাকে ভালোবাসতে পারেন, এমনকি বিয়েও করতে পারেন। কিন্তু আমাদের সমাজ ও পরিবার এমন ‘অসম’ বয়সের সম্পর্ক সহজে মেনে নিতে চায় না। এমনকি বয়সের পার্থক্যের কারণে ভবিষ্যতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও সমস্যা দেখা দেয়।
এ বিষয়ে সমাজবিজ্ঞানীরা বলেন, এ ধরনের সম্পর্কে দুজনকেই নানা ধরনের সামাজিক বা পারিবারিক চাপের সম্মুখীন হতে হয়। বয়সের ব্যবধান যদি ১০-১৫ বছরের হয় সোশ্যাল, বায়োলজিক্যাল বা ডেমোগ্রাফিক্যাল সব ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তাদের।
এ ধরনের অসম বয়সের সম্পর্কে কী ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে এবং তার সমাধান কী, চলুন জেনে নেই।
প্রেমিকের বয়সের তুলনায় প্রেমিকার বয়স বেশি হলে সামান্য বিষয়ে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে প্রেমিক অন্য নারিতে আসক্ত হতে পারে। আবার এই ধরনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সুবিধা হলো প্রেমিকা বড় হলে সব বিষয়ে সঙ্গীর সহযোগিতা পাওয়া যায়।
স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর বয়স বেশি হলে উভয়ের মধ্যেই মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়। এই মানসিক চাপ যেমন দুজনের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে, তেমনি এর কারণে সম্পর্ক ভেঙেও যেতে পারে।
বর্তমানে অনেক পরিবার রয়েছে যারা এখনো গতানুগতিক সম্পর্কের বাইরে বেরোতে পারেনি। আর এই ধরনের সম্পর্ক করে বিয়ের ক্ষেত্রে খুব কম পরিবারই মেনে নেয়। পরিবারের সদস্যরা এ সম্পর্কের ব্যাপারে কোনো ধরনের সহযোগিতাই করতে চান না।
পরিবারকে চাপ না দিয়ে ধীরে ধীরে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে যে, আপনারা কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেননি। যেকোনো সম্পর্কে প্রয়োজন ভালো বোঝাপড়া, শ্রদ্ধাবোধ, ভালোবাসা আর দায়িত্ববোধ। এখানে বয়স কোনো মুখ্য বিষয় নয়।
স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্যের কারণে মানসিক বয়সের পার্থক্যও দেখা দেয়। ফলে তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিও হতে পারে।
সাধারণত ৩০-৩৫ বছরের পরেই গর্ভধারণের ব্যাপারটি মেয়েদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। তাই স্ত্রীর বয়স বেশি হলে তা আরো বেশি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সেক্ষেত্রে বিয়ের আগে বা বিয়ের পরপরই ঠিক করে নিতে হবে যে সন্তান কবে নিতে চান। সে ক্ষত্রে বেশি দেরি না করাটাই ভালো।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য খুব বেশি হলে একটা সময়ে গিয়ে যৌনজীবনে সমস্যার সৃষ্টি হয়। একে অপরের যৌন চাহিদা মেটাতে সমস্যা সৃষ্টি হয় আর এর ফলে দাম্পত্য সম্পর্কে কলহ লেগেই থাকে।
এই ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্কে একে অপরের মধ্যে সমঝোতার দরকার করে সমাধান করতে হবে। তাই দুজনের মতামতকেই প্রাধান্য দেয়া উচিৎ।