ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’, আঘাত হানতে পারে যেসব অঞ্চলে
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে, যা আরো শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বর্তমানে নিম্নচাপটি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় ১ হাজার ২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘মন্থা’। এই নামটি থাইল্যান্ডের দেওয়া। স্থানীয় ভাষায় এর অর্থ ‘সুগন্ধি ফুল’ বা ‘সুন্দর ফুল’। আবহাওয়াবিদদের ধারণা, ঘূর্ণিঝড় মন্থা একটি ‘সিভিয়ার সাইক্লোন’ বা তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১,৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার থেকে ১,২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা থেকে ১,৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১,২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরো ঘনীভূত হতে পারে।
আরো পড়ুন : বৃষ্টিহীন ঢাকায় আজও গরমের দাপট
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি শনিবার মধ্যরাত নাগাদ গভীর নিম্নচাপ এবং রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’তে পরিণত হতে পারে। তবে এর প্রভাব বাংলাদেশে তেমন পড়বে না।
অন্যদিকে, ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি শনিবার দুপুর নাগাদ ১০.৮° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.৬° পূর্ব দ্রাঘিমাংশের কাছাকাছি অবস্থান করছিল।
তাদের তথ্যমতে, ওই সময় নিম্নচাপটি পোর্ট ব্লেয়ার (আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ) থেকে ৪৬০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, চেন্নাই থেকে ৯৫০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে, বিশাখাপত্তনম থেকে ৯৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, কাকিনাড়া থেকে ৯৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং গোপালপুর থেকে ১,০৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, নিম্নচাপটি রোববার (২৬ অক্টোবর) গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে সোমবার (২৭ অক্টোবর) দক্ষিণ-পশ্চিম ও সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এরপর এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়ার উপকূলবর্তী মছলিপত্তনম ও কলিঙ্গপত্তনম এলাকার মধ্য দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে। এই সময়ে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
