জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সানায়ে তাকাইচি। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটে তিনি তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ইয়োশিহিকো নোদাকে ৮৮ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বিজয়ী হন। এর মাধ্যমে তাকাইচি দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছেন। খবর জাপান টাইমস।

২০২৪ সালের আগস্টে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা পদত্যাগের পর ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। তবে দায়িত্ব গ্রহণের এক বছরের মাথায়, চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর তিনিও পদত্যাগ করেন। তার পরই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন তাকাইচি।

যদিও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কিশিদার মেয়াদ ২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত ছিল, তার আগেই তিনি পদত্যাগ করেন। সরকারের মেয়াদ চলমান থাকায় এবং পার্লামেন্টে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকায় তাকাইচি এমপিদের ভোটের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।

আরো পড়ুন : সব ক্ষেত্রে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে প্রস্তুত রাশিয়া

১৯৫৫ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা এলডিপি জাপানের রাজনীতিতে প্রভাবশালী দল হিসেবে পরিচিত। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দলটির জনপ্রিয়তা কিছুটা কমেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সানায়ে তাকাইচি জাপানের সংসদের নিম্নকক্ষে টানা ৩০ বছর ধরে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একসময় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনীতির বাইরে তাকাইচি টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন, পাশাপাশি তার শখ হেভি মেটাল সংগীতের সঙ্গে ড্রাম বাজানো।

নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকাইচির সামনে রয়েছে বেশ কিছু বড় চ্যালেঞ্জ। অর্থনৈতিক মন্দা, মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, স্থবির মজুরি ও জনজীবনের ভোগান্তি এখন তার প্রধান উদ্বেগের বিষয়। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন মোকাবিলা এবং ট্রাম্প প্রশাসনের সময় স্বাক্ষরিত শুল্ক চুক্তি বাস্তবায়ন করাও তার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হবে।