চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে পদদলিত হয়ে নিহত ২

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৪১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে চট্টগ্রামে আয়োজিত জশনে জুলুসে পদদলিত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নগরের মুরাদপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃতদের মধ্যে রয়েছেন, চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা আইয়ুব আলী (৬০) এবং নগরের কালামিয়া বাজার এলাকার সাইফুল ইসলাম (১৩)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আহতদের মধ্যে একজনকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে। আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া ট্রাস্টের মেডিকেল টিমের মাধ্যমে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
টিমের সদস্য আমিনুর রহমান বলেন, ভিড়ের মধ্যে গরমে অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকজন পড়ে যান। এ সময় পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় আটজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়, যার মধ্যে দুজন মারা যান।
আরো পড়ুন : ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে রাজধানীতে শোভাযাত্রা
জুলুসের আনুষ্ঠানিকতা সকাল ১০টায় আলমগীর খানকা শরীফ থেকে শুরু হয়। নিরাপত্তার জন্য বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং স্বেচ্ছাসেবকরা পুরো আয়োজনকে সফল করতে কাজ করেন। ভোর থেকে নগরের বিভিন্ন মোড়ে ট্রাক ও মিনি ট্রাক সাজিয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
চট্টগ্রামে জশনে জুলুস আয়োজনের ইতিহাস ১৯৮০ সালে শুরু হয়। এটি গত ৫৪ বছর ধরে আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। জুলুসের নেতৃত্ব দেন আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ। এতে অংশ নেন বিভিন্ন পীর-মাশায়েখ ও আলেম-ওলামারা।
আল্লামা সাবির শাহ বলেন, জশনে জুলুস নবীপ্রেমের সোনালি প্রদীপ। লাখো মানুষের অংশগ্রহণ মুসলমানদের নবীজির প্রতি ভালোবাসা ও ঐক্যের প্রতিফলন।
শোভাযাত্রায় ভক্তদের জন্য প্রতিটি মোড়ে শরবত, পানি ও তাবাররুকের ব্যবস্থা রাখা হয়। ছোট শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও এই সেবায় অংশ নেয়। ঐতিহাসিক এই জুলুস এখন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় শোভাযাত্রা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।