শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সমূলে উৎপাটন করতে হবে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৩, ০৬:২১ পিএম

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল। ছবি: সংগৃহীত
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল বলেছেন, বাংলার মাটিতে পঁচাত্তরের ঘাতকরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সমূলে উৎপাটন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজ ১৫ আগষ্ট। বঙ্গবন্ধু জাতির কলঙ্কময় অধ্যায়। যিনি বাঙালি জাতিকে দিয়েছে স্বাধীনতা। যে মহান ব্যক্তিত্বের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল এদেশের আপাময় জনসাধারণ। সেই মহান ব্যক্তিকে ঘাতকরা তার পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ছোট্ট রাসেলের শেষ আকুতি টলাতে পারেনি খুনিদের মন।
মৃত্যুর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান বলেছিল, ‘আল্লাহর দোহাই আমাকে জানে মেরে ফেলবেন না। আমার হাসু আপা দুলা ভাইয়ের সঙ্গে জার্মানিতে আছেন। আমি আপনাদের পায়ে পড়ি, দয়া করে আপনারা আমাকে জার্মানিতে তাদের কাছে পাঠিয়ে দিন।’
তবে সেদিন রাসেলের এই আর্তচিৎকারে খোদার আরশ কেঁপে উঠলেও টলাতে পারেনি খুনি পাষাণদের মন। বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মত এই নিষ্পাপ শিশুকেও পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছিল।
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ’ গ্রন্থে রাসেলকে হত্যার এই নৃশংস বর্ণনা দিয়েছেন।
এম এ ওয়াজেদ মিয়া তার গ্রন্থে লেখেন বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে হত্যার পর রাসেল দৌঁড়ে নিচে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করানো বাড়ির কাজের লোকজনের কাছে আশ্রয় নেয়। রাসেলের দীর্ঘকাল দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা আবদুর রহমান রমা তখন রাসেলের হাত ধরে রেখেছিলেন। একটু পরেই একজন সৈন্য রাসেলকে বাড়ির বাইরে পাঠানোর কথা বলে রমার কাছ থেকে তাকে নিয়ে নেয়। রাসেল তখন ডুকরে কাঁদতে কাঁদতে তাকে না মারার জন্য আল্লাহ’র দোহাই দেয়।
রাসেলের এই মর্মস্পর্শী আর্তিতে একজন সৈন্যের মন গলায় সে তাকে বাড়ির গেটে সেন্ট্রিবক্সে লুকিয়ে রাখে। কিন্তু এর প্রায় আধ ঘণ্টা পর একজন মেজর সেখানে রাসেলকে দেখতে পেয়ে তাকে দোতলায় নিয়ে ঠান্ডা মাথায় রিভলবারের গুলিতে হত্যা করে। ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র দুরন্তপ্রাণ শেখ রাসেল এমন সময়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন যখন তার পিতার রাজনৈতিক জীবনকে দেখতে শুরু করেছিলেন মাত্র।
শেখ রাসেলকে হত্যার আগে ঘাতকরা একে একে পরিবারের অন্য সদস্য বড় ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল, মা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব এবং বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে। ১৯৬৪ সালের ১৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন।