ময়মনসিংহ নগর ভবনে উন্নয়নের নামে অনিয়ম তদন্তে দুদকের অভিযান

রুহুল আমীন খান, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২৭ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সড়ক উন্নয়ন কাজের অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে নগর ভবনে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিষয়টি সাধারণ জনমনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন ময়মনসিংহ নগরবাসী।
উন্নয়নের নামে ২০২০ সালের বরাদ্দকৃত ১ হজার ৫৭৫ কোটি টাকা এ যাবত কোথায় কিভাবে খরচ হয়েছে তা অভিযোগে উঠে এসেছে। যার প্রেক্ষিতে দুদক ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে এই অভিযান পরিচালনা করে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে দুদকের প্রতিনিধিদল, এ অভিযানে সিটি করপোরেশন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীদের সঙ্গে নিয়ে সরজমিনে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের একজন বাসিন্দা সড়ক নির্মাণ কাজ যতটুকু হয়েছে, তার চেয়ে বেশি দেখিয়ে বিল উত্তোলন করেছে, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেয়া হয়।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন সড়ক উন্নয়ন ও ড্রেনেজ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। দেশের পট পরিবর্তনের পর অনেক ঠিকাদার কাজ ফেলে পালিয়ে গেলে অসমাপ্ত কাজ নিধারিত সময়ে শেষ করতে না পারায়, পরবর্তিতে এক বছর বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়। ২০১৮ সালে সিটি করপোরেশন ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ নাগরিকদের দুর্ভোগ বিবেচনায় সরকার ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর এই বিশেষ প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেয়। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা।
এ বিষয়টি নিয়ে দুদকের ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক বুলু মিয়া জানান, সড়ক ও ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন কাজে অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সরেজমিনে গিয়ে প্রতিটি কাজ মুল্যায়ন ও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে অনিয়ম পাওয়া গিয়েছে কিনা এ বিষয়ে এখনই মন্তব্য করতে অপারগতা জানান তিনি।
এদিকে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুদকের অভিযান সম্পর্কে তারা আগে থেকে অবগত না। এভাবে অভিযান পরিচালনা করাতে সিটি করপোরেশনের মান ক্ষুন্ন হয়েছে। তারপরেও দুদকের চাহিদার প্রেক্ষিতে আমাদের পক্ষ হতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। কাজ শেষ না করে কোন ঠিকাদারকে বিল দেয়ার অভিযোগটি সম্পুর্ন ভিত্তিহীন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।