‘বেস্ট ইন এগ্রো বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেলো জোবায়ের ইসলাম
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪২ পিএম
‘বেস্ট ইন এগ্রো বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেলো জোবায়ের ইসলাম
বাংলাদেশের কৃষি এবং কৃষকদের মাঝে অবদান রাখার জন্য ‘বেস্ট ইন এগ্রো বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেলো তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা জোবায়ের ইসলাম। গত ২ অক্টোবর রবিবার রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে তার হাতে এই অ্যাওয়ার্ড তুলে দেয়া হয়। দেশের শিল্প-সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সমাজের নানা অঙ্গনে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিবছর ‘বাংলাদেশ অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ শিরোনামের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। সেখানেই এটি অর্জন করেন জোবায়ের ইসলাম।
চার বছর ধরে নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে এবারও ছিল গ্ল্যামার, তারকাখ্যাতি ও আবেগে ভরপুর। জনপ্রিয় তারকাদের ঝলমলে উপস্থিতি, চমৎকার পারফরম্যান্স এবং উচ্ছ্বাসে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে পুরো অনুষ্ঠানস্থল। একই মঞ্চে এওয়ার্ড দেয়া হয় তরুণ ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের।
তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে এবার এওয়ার্ডটি গ্রহণ করেন সুখের খামারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও কৃষি উদ্যোক্তা জোবায়ের ইসলাম, যিনি দেশের কৃষি উন্নয়ন ও টেকসই উৎপাদনে এক অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছেন।
জোবায়ের ইসলাম বলেন— “এই অর্জন শুধু আমার নয়, বাংলাদেশের প্রতিটি পরিশ্রমী কৃষকের। আমরা বিশ্বাস করি—সততা, পরিশ্রম ও উদ্ভাবনের সমন্বয়ে কৃষিকে আবারও দেশের গর্বের খাতে পরিণত করা সম্ভব।”
সুখের খামার প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি, জৈব উৎপাদন এবং কৃষকদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি ফার্মিং হ্যাপিনেস স্লোগান নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে টেকসই কৃষির মডেল তৈরি করেছে।
বর্তমানে সুখের খামার ৩০ বিঘারও বেশি জায়গায় “সুখের খামার এগ্রো ভিলেজ” নামে একটি বৃহৎ কৃষিভিত্তিক প্রকল্প গড়ে তুলছে। সেখানে নির্মিত হচ্ছে একটি সমন্বিত কৃষি খামার, এগ্রো রিসোর্ট, হাফিজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসা। এই সম্মাননা সুখের খামারকে আরও অনুপ্রাণিত করবে দেশের কৃষিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়ে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র, নাটক, ওটিটি কনটেন্ট, সংগীত ও মিডিয়ার বিভিন্ন বিভাগে সেরা অবদান রাখা ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বাংলাদেশ অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’। পাশাপাশি দেয়া হয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদেরও। এবারের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
অনুষ্ঠানের ভাবনা ও সৃজনশীল পরিকল্পনায় ছিলেন স্বপ্নীল সজীব। জুরি বোর্ডে ছিলেন বাংলাদেশের তিন কিংবদন্তি ও দুই বিশিষ্ট সংস্কৃতিকর্মী— রোজিনা (অভিনেত্রী), খুরশিদ আলম (কণ্ঠশিল্পী), জিনাত হাকিম (নাট্যকার ও পরিচালক), ইভান শাহরিয়ার সোহাগ (কোরিওগ্রাফার) এবং আল মাসিদ রণ (বিনোদন সাংবাদিক)।
