৫ কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০৯ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র স্কুলিং মডেল ভিত্তিক খসড়া অধ্যাদেশ উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলতে পারে, এমন অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন পাঁচ সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগে অবস্থান নেন। এতে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
সকাল থেকেই ঢাকা কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলে তারা স্কুলিং মডেল বাতিল ও উচ্চমাধ্যমিকের স্বতন্ত্র কাঠামো অক্ষুণ্ণ রাখার দাবি জানান। পরে পাঁচ কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে শাহবাগে অবরোধ শুরু করে।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম ইসলাম বলেন, স্কুলিং মডেল চালু হলে আমাদের পাঁচ কলেজে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ই থাকবে না। আমরা এর আগেও প্রতিবাদ করেছি। আজও দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় নেমেছি। যতক্ষণ স্কুলিং মডেল বাতিলের ঘোষণা না আসবে, আন্দোলন চলবে।
এদিকে, প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র অধ্যাদেশ দ্রুত জারির দাবিতে আজ আবারও রাস্তায় নামছে সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম আটকে থাকা এবং খসড়া অধ্যাদেশ প্রকাশিত হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভবন অভিমুখে পদযাত্রা ও অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। তাদের দাবি— দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করে পরিচয় সংকট ও একাডেমিক অনিশ্চয়তা দূর করতে হবে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর আন্দোলনের অর্গানাইজিং উইং জানায়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে মতামত গ্রহণ, এবং পরবর্তী তিন দফা বৈঠকের পরও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এতে প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থীর উদ্বেগ আরো বেড়েছে।
আন্দোলনকারীরা জানান, আজ শিক্ষা ভবন অভিমুখে পদযাত্রা করা হবে এবং অধ্যাদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত টানা অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
এর আগে ১২ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, সাত কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের গুজব এড়িয়ে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানানো হয়েছিল।
