স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
কাজে যোগ না দেয়া পুলিশরা ‘ক্রিমিনাল’

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
পুলিশের যেসব সদস্য এখনো কাজে যোগদান করেননি, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, তাদের আমরা পুলিশ বলব না। তাদের ক্রিমিনাল বলব। সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গতকাল মঙ্গলবার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা আনসার, পুলিশ ও বিজিবি নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুয়েকদিনের মধ্যে সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা উপদেষ্টা কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে আসন্ন দুর্গাপূজা যেন নির্বিঘœ হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি, এবারের পূজা সবচেয়ে নির্বিঘœ হবে, সবচেয়ে ভালো হবে। পূজা নির্বিঘœ করতে যা যা পদক্ষেপ নেয়ার সবই নেব। এ জন্য সবার সাহায্য ও সহযোগিতা দরকার।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশুলিয়ায় শিল্পকারখানায় যে ঝামেলা চলছে, তা নিয়ে কথা বলেছি। অস্ত্র উদ্ধার অভিযান ও মাদকের ব্যবহার রোধ নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছি। মিয়ানমার সীমান্ত নিয়েও আমরা কথা বলেছি। এ ছাড়া বিভিন্ন মাজার ও দরগায় কীভাবে নিরাপত্তা দেয়া যায়, তা নিয়ে বৈঠকে আমরা আলোচনা করেছি। বিশেষ করে গার্মেন্টস খাত নিয়ে আমরা কথা বলেছি।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি যেটা হয়েছে, সেটা সন্তোষজনক। যত দিন যাবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে। পূজার ছুটি তিন দিন করার দাবি নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের এখানে কোনো আলোচনা হয়নি। এমনকি পূজার তিন দিন ছুটি করা নিয়ে আমি কোনো দিন বলিনি।
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিষয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তি হওয়ার পর ইউপিডিএফ হাতিয়ার সমর্পণ করেনি। জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) কেবল হাতিয়ার সমর্পণ করেছিল। ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঝামেলা আছে। অন্য যারা আছে, তাদের মধ্যেও ঝামেলা আছে। তারা মিলেমিশে কীভাবে থাকতে পারে, সেটার ব্যবস্থা করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, অনেক সময় তারা বাইরে থেকেও কিছু অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ পাচ্ছে। ওটা যেন না পায়, সেটার একটা ব্যবস্থা করতে হবে।
এক উপদেষ্টার দেয়া ‘দুই মাসের মধ্যে পুলিশ বাহিনী সংস্কার করা হবে’ বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, পুলিশ সংস্কারের কাজ ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়ার কথা। সংস্কারের কাজটা আমি করছি না। এ জন্য আলাদা কমিটি করে দেয়া হয়েছে। ওই কমিটি কাজটি করবে। তারা আমাদের কাছে প্রতিবেদন দেবে। সেই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সংস্কার হবে।
কতজন পুলিশ এখনো কাজে যোগ দেয়নি, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৮৭ জনের মতো ছিল। পরে মনে হয় আর কেউ যোগদান করেননি। যারা যোগ দেননি, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।