গোপন বার্তা ফাঁসের অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১১:২৫ এএম
-68a2b95b75855.jpg)
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) লোগো। ছবি : সংগৃহীত
ওয়াকিটকিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজের নির্দেশ ফাঁসের অভিযোগে অমি দাশ নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাতে খুলশী থানা পুলিশ তাকে আটক করে।
এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি সিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
অমি দাশ পুলিশের টেলিকম ইউনিটের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। বর্তমানে তিনি প্রেষণে সিএমপির খুলশী থানায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ায়, বাবার নাম রাজিব দাশ।
গত ১২ আগস্ট ওয়াকিটকিতে সিএমপির সব সদস্যের উদ্দেশ্যে কমিশনার হাসিব আজিজ অস্ত্রধারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেন। এর আগে ১১ আগস্ট দিবাগত রাতে নগরের সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ গুরুতর আহত হন। ওই ঘটনার পরপরই কমিশনার এই নির্দেশনা দেন। তবে তার বার্তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন এক কর্মকর্তা।
আরো পড়ুন : বাংলাদেশে আরো ৫০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা
এতে চট্টগ্রামের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। গোপনীয় বার্তা ফাঁস হওয়ায় নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। তদন্তে নামা একাধিক টিমের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত কনস্টেবল অমি দাশকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।
কমিশনারের নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগের প্রাধিকার অনুযায়ী থানার মোবাইল পার্টি, পেট্রোল পার্টি, ডিবি টিমসহ সব ফোর্সকে অস্ত্র ও লাইভ অ্যামুনিশন নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো টহল পার্টি আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়া মাঠে নামবে না।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, শুধু রাবার বুলেট দিয়ে পরিস্থিতি সামলানো যাচ্ছে না। বন্দরে একজন এসআই গুরুতর আহত হয়েছেন, ভবিষ্যতে আরো বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই পুলিশ টহল পার্টির সামনে যদি কেউ অস্ত্র তোলে—ধারালো হোক বা আগ্নেয়াস্ত্র—তাৎক্ষণিকভাবে গুলি চালাতে হবে। আত্মরক্ষার অধিকার আইনে সুরক্ষিত, আর সরকারি গুলির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।