আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার ‘বিদ্বেষমূলক’ বক্তব্য প্রচারে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। 

তার এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ব্রিফিংয়ে এ ব্যাপারে এক সাংবাদিক জানতে চান। অবশ্য প্রশ্নকারী সাংবাদিক ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ প্রচারে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারটি তোলেননি। তিনি শুধু শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারটি তুলেছিলেন। 

ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের উপর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটি সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন এবং বাকস্বাধীনতা বিরোধী। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী?

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলেও তা নিয়ে কোনো কথা বা মন্তব্য বলতে রাজি হননি দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়, সম্প্রতি ড. ইউনূসের প্রভাবশালী উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ মাহফুজ আলম পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসামসহ ভারতের অংশবিশেষকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি বিতর্কিত পোস্ট দিয়েছেন। তার এ ধরনের বক্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। মার্কিন সরকার কি এই বিবৃতিটিকে উদ্বেগের সঙ্গে দেখে কিনা এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এ ধরনের বক্তব্যের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বা দৃষ্টিভঙ্গি কী?

উত্তরে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, তার এমন মন্তব্যের ব্যাপারে আমি অবগত নই। আপনি আমাকে যা পড়ে শোনালেন এর বাইরে এ বিষয়ে আমার জানা নেই। সাধারণ নিয়মানুসারে আমি যে ব্যাপারটি দেখিনি তা নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না।