মানবতাবিরোধী অপরাধ
শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৫, ১১:৪৫ এএম

ছবি : সংগৃহীত
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার এর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই শুনানি শুরু করে। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এদিন গ্রেপ্তারকৃত আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তবে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক থাকায়, তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরুর জন্য রাষ্ট্রপক্ষ প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আদালত ইতোমধ্যে তাদের জন্য আইনজীবী নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরো পড়ুন: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ৩৬ দিনের কর্মসূচি শুরু
এর আগে ২০২৫ সালের ১ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই তিনজনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনীত আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফর্মাল চার্জ) আমলে নেয়। এরপর ২৪ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য করা হয়।
প্রসিকিউশনের অভিযোগপত্র অনুযায়ী, এ মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট ৫টি অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রায় ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার এই অভিযোগপত্রে রয়েছে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে।
এছাড়া, মামলায় মোট ৮১ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন।
প্রসিকিউশনের দাবি, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন সরকারি নির্দেশে ও পরিকল্পিতভাবে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর নির্বিচারে গুলি, হত্যা, গুম ও নির্যাতন চালানো হয়। এ সময় রংপুরের ছাত্র আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ড বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তারা জানান, মামলাটির পরবর্তী শুনানিতে অভিযোগ গঠনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এছাড়া পলাতক আসামিদের অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু করার অনুমতির বিষয়েও শুনানি হতে পারে।