‘যুদ্ধ শুরু হলো’— ট্রাম্পের হুমকির পর মুখ খুললেন খামেনি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ০৮:৩০ এএম

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ছবি : সংগৃহীত
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান সংঘাতে উত্তেজনা আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত ৪৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এ অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি ও সরাসরি মন্তব্যের পর মুখ খুলেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)–এ দেওয়া এক পোস্টে খামেনি লেখেন- মর্যাদাবান হায়দারের নামে, যুদ্ধ শুরু হলো।
‘হায়দার’ হলো ইসলামের চতুর্থ খলিফা ও শিয়া মতাবলম্বীদের প্রথম ইমাম ইমাম আলী (রা.)-এর উপাধি। খামেনির এই বক্তব্য ইরানের প্রতিরোধের প্রতীকী ঘোষণা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প খামেনিকে ‘সহজ লক্ষ্যবস্তু’ উল্লেখ করে একাধিক পোস্টে হুমকি দেন। এক পোস্টে তিনি বলেন, আমরা জানি তথাকথিত ‘সর্বোচ্চ নেতা’ কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি সহজ লক্ষ্যবস্তু। তবে অন্তত এখনই আমরা তাকে বের করে আনছি না।
আরো পড়ুন : ইরানকে সহায়তার জন্য প্রস্তুত তুরস্ক
আরেক পোস্টে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন- আমাদের ধৈর্য ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে। আমরা চাই না বেসামরিক নাগরিক বা আমাদের সৈন্যদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হোক।
এরপরই ট্রাম্প আরেক পোস্টে লিখেছেন: আনকন্ডিশনাল সারেন্ডার! (নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ!)
ট্রাম্পের মন্তব্যের সরাসরি প্রতিক্রিয়ায় খামেনি বলেন, আমাদের সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দিতে হবে। আমরা ইহুদিবাদীদের কোনো দয়া দেখাব না। তিনি স্পষ্ট জানান, ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ নিতেই হবে, আর এ ক্ষেত্রে ইরান কোনোভাবেই পিছপা হবে না।
গত শুক্রবার থেকে ইসরায়েলের বড় পরিসরের হামলা শুরু হয়। টানা হামলা ও পাল্টা হামলায় ইরান ও ইসরায়েল উভয় দেশই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, এই সংঘাত একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধের রূপ নিতে পারে। ট্রাম্পের সরাসরি হুমকি এবং খামেনির যুদ্ধ শুরু হলো ঘোষণায় মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক কূটনীতি, মধ্যস্থতা এবং মানবিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বিশ্বনেতাদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।