মাস্টারমাইন্ড শব্দটির সঙ্গে একমত নই, খালেদ মুহিউদ্দিনকে উপদেষ্টা নাহিদ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম

খালেদ মুহিউদ্দীন ও নাহিদ ইসলাম
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের ফাঁকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজ’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরে সরকার পতনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। তবে ‘মাস্টারমাইন্ড’ শব্দটির সঙ্গে একমত নন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম। মো. নাহিদ ইসলাম বলন, ‘কেউ কেউ হয়তো ভালোবাসার জায়গা থেকে বলছেন। কিন্তু তিনি (মাহফুজ) এবং আমরা (সমন্বয়করা) কেউই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড শব্দটির সঙ্গে একমত নই।
‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ টকশোতে বিষয়টি স্পষ্ট করেন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয় ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ ইউটিউব চ্যানেলে। যেখানে অতিথি হিসাবে আরো ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। উপস্থাপনা করেন ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) খালেদ মুহিউদ্দীন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনীতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাম্প্রতিক অনেক প্রসঙ্গ আসে আলোচনায়। এসব নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দুই অতিথি। যে আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে, তাতে কোনো একক নেতৃত্ব ছিলো না, বলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি আরো বলেন, ‘সাধারণ মানুষ একে এগিয়ে নিয়ে গেছে। আন্দোলনটাকে কয়েকজন মিলে পরিচালনা করতে হয়েছে। নিতে হয়েছে নানাজনের বুদ্ধি-পরামর্শ। তবে আমরা একে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন হিসেবেই দেখি। রাজনৈতিক নেতৃত্বের বাইরে গিয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের। সেখানে গত এক দশকে একাধিকবার সরকার পতনের ডাক দিয়ে সফল হতে পারেনি বিএনপি।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ও তথ্য উপদেষ্টা নাহিদকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে চট্টগ্রামে একটি নালিশি মামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ আমলে নিজের প্রভাব-বলয় বাড়াতে কেউ কেউ এমন মামলা করতেন। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি একই রকম থেকে যাচ্ছে কি-না শঙ্কার কথা বলেন, উপস্থাপক খালেদ। তবে আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যিনি মামলা করেছেন, তাকে চিনিও না। আইন উপদেষ্টার সঙ্গে যোগ করেছি, এই মামলায় যাতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা না হয়, সেটা দেখতে অনুরোধ করেছি। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট আমরা সংশোধন করবো। এই মামলার আমি বিরোধিতা করি।