বিমসটেককে যুব, পরিবেশ, জলবায়ু সংকটের দিকে বেশি নজর দিতে হবে: অধ্যাপক ইউনূস

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৮ পিএম

ছবি: বাসস
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিমসটেকের উচিত যুব, পরিবেশ ও জলবায়ু সংকট ইস্যুতে আরো মনোযোগ দেয়া। সোমবার (২৮ অক্টোবর) বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) মহাসচিব রাষ্ট্রদূত ইন্দ্র মণি পান্ডে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিমসটেকের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করে মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে বলেন, সদস্য দেশগুলো একে একটি শীর্ষ পর্যায়ের সক্রিয় আঞ্চলিক ফোরামে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করছে। আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনের পর বাংলাদেশ বিমসটেকের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবে। প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্ব সাত জাতিগোষ্ঠীর কার্যক্রমে নতুন প্রাণের সঞ্চার করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা কার্যকরভাবে আরো সক্রিয় সংগঠনে পরিণত হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছি। আপনার নেতৃত্বে আমরা অনেক ক্ষেত্রে অগ্রগতি লাভ করতে সক্ষম হবো। থাইল্যান্ডে সেপ্টেম্বরে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠান করবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু তা স্থগিত করা হয়েছে। পরে সম্মেলনের সময় পুনঃনির্ধারণ করা হবে।
রাষ্ট্রদূত ইন্দ্র মণি পান্ডে বলেন, গ্রুপটি বছরে মন্ত্রী পর্যায়ের তিনটি বৈঠক শুরু করেছে। সামুদ্রিক পরিবহন ও জ্বালানি সহযোগিতাসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন গ্রুপের প্রধান অগ্রাধিকার ক্ষেত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গ্রুপের উচিত যুব, পরিবেশ ও জলবায়ু সংকটের বিষয়ে আরো বেশি মনোযোগ দেয়া। জুলাই-আগস্টে সফল বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশি তরুণদের সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, তরুণরা আমাদের ভবিষ্যত। ঢাকা শীঘ্রই তরুণদের জন্য একটি উৎসবের আয়োজন করবে। প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, গ্রুপের সাতটি দেশ তাদের তরুণদের বাংলাদেশের রাজধানীতে অনুষ্ঠিতব্য উৎসবে যোগ দিতে পাঠাবে।
রাষ্ট্রদূত পান্ডে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস সূচিত থ্রি জিরো আন্দোলনের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, নারীকেন্দ্রিক উন্নয়নও বিমসটেকের প্রধান অগ্রাধিকার।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিমসটেক দেশগুলোর মধ্যে শুধু নেপালেই ৭০০টির বেশি থ্রি জিরো ক্লাব রয়েছে। অন্তত আটটি ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক ব্যবসা কেন্দ্র স্থাপন করেছে।