ইসলামী মহাসম্মেলন
সাদপন্থিদের প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে ৯ দাবি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী মহাসম্মেলন
‘বাংলাদেশে ইজতেমা একবার হবে, দুবার নয়। গাজীপুরের টঙ্গীতে ইজতেমার মাঠ ও ঢাকার কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের দিল্লির মাওলানা সাদপন্থিদের আর ঢুকতে দেয়া হবে না।’
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক মহাসম্মেলনে এসব কথা বলেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষ নেতারা। তাবলিগ কওমি মাদ্রাসা ও দ্বীন রক্ষার্থে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ। মহাসম্মেলনে দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামরা বক্তব্য দেন।
ইসলামী মহাসম্মেলনে যোগ দিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যায় আলেম-ওলামা জড়ো হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে এ সম্মেলন শুরু হয়। বেলা সোয়া ১টার দিকে সম্মেলন শেষ হয়।
মহাসম্মেলন থেকে ৯ দফা দাবি ঘোষণা এবং মোনাজাতের মাধ্যমে তা শেষ হয়েছে। এতে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক।
৯ দফা ঘোষণায় বলা হয়- তাবলিগ নিয়ে বিচ্ছিন্ন মহলের সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। সাধারণ শিক্ষা সিলেবাসে ধর্মশিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। আলেমদের বিরুদ্ধে বিগত সরকারের যাবতীয় মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। শাপলা চত্বরের গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করতে হবে। ২০১৮ সালে টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে সাদপন্থিদের নৃশংস আক্রমণের বিচার করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই মাওলানা সাদকে এ দেশে আসতে দেয়া হবে না। আলেমপন্থিদের বিশ্ব ইজতেমাই সরকার ঘোষিত দুই পর্বে করতে দিতে হবে। কাকরাইল মসজিদ আজ থেকে কেবল শুরায়ি নেজামের অধীনে পরিচালিত হবে এবং অভিশপ্ত কাদিয়ানিদের অবিলম্বে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।
ইসলামী মহাসম্মেলনে যোগ দিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যায় আলেম-ওলামা জড়ো হন।
সম্মেলনে শীর্ষ আলেমরা বলেছেন, মানুষ কখনো নকল জিনিস গ্রহণ করে না। নকল বন্ধ করা সরকারের দায়িত্ব। নকল ধারার তাবলিগ চলতে পারে না। ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে নকল তাবলিগ নানা সুবিধা নিয়েছে। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের আশপাশেও ঘুরঘুর করছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে।
সম্মেলনে হেফাজত আমির মাওলানা শাহ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা খলিল আহমাদ কাসেমী, মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, মাওলানা আব্দুর রহমান হাফেজ্জী, মাওলানা নুরুল ইসলাম আদিব সাহেব হুজুর, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা রশিদুর রহমান, মাওলানা শায়খ জিয়াউদ্দিন, মাওলানা সাজিদুর রহমান, ফরিদাবাদের মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মাওলানা আরশাদ রহমানি, মাওলানা সালাহউদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুস্তাক আহমদ, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আনোয়ারুল করীম, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা মুফতি মনসুরুল হক, মাওলানা মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।