করোনার নতুন ঝুঁকি
ভারতসহ সংক্রমিত দেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৫, ০৬:৩৪ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
করোনাভাইরাসের নতুন সাবভেরিয়েন্টের সংক্রমণ ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে দ্রুত বাড়তে থাকায় বাংলাদেশ সরকার নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত এবং সংক্রমণপ্রবণ অন্যান্য দেশে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে হবে। সেইসঙ্গে দেশের স্থল, নৌ এবং বিমানবন্দরগুলোতে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের নতুন সাবভেরিয়েন্ট—অমিক্রনের এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন-১ ও এনবি ১.৮.১ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই ধরনগুলো আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশেও সংক্রমণ ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ কারণে দেশের সীমান্ত প্রবেশপথগুলোতে আইএইচআর স্বাস্থ্য ডেস্ক জোরদার করার পাশাপাশি হেলথ স্ক্রিনিং কার্যক্রম চালু রাখতে বলা হয়েছে।
গত সপ্তাহে দেশে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আইসিডিডিআরবি জানিয়েছে, দেশে নতুন করে এক্সএফজি এবং এক্সএফসি ধরনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দুটোই অমিক্রনের জেএন-১ ভ্যারিয়েন্টের উপধরন, যা তুলনামূলকভাবে বেশি সংক্রামক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয়:
দিনে সাতবার ২৩ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া।
মাস্ক ব্যবহার করা ও নাক-মুখ ঢেকে রাখা।
অন্তত ৩ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা।
অপরিষ্কার হাতে চোখ, মুখ, নাক স্পর্শ না করা।
হাঁচি-কাশির সময় বাহু, টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা।
সীমান্ত ও বিমানবন্দরে করণীয়:
থার্মাল স্ক্যানার ও ডিজিটাল হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটারে তাপমাত্রা পরিমাপ।
হেলথ স্ক্রিনিং ও রোগ পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম জোরদার।
পর্যাপ্ত সংখ্যক পিপিই, মাস্ক ও গ্লাভস মজুত রাখা।
জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার কার্যক্রম চালানো।
সন্দেহজনক রোগীদের জন্য:
অসুস্থ হলে ঘরে থাকা ও মারাত্মক হলে হাসপাতালে যোগাযোগ।
আক্রান্ত ব্যক্তিকে মাস্ক পরতে উৎসাহিত করা।
প্রয়োজন হলে আইইডিসিআর হটলাইন: ০১৪০১-১৯৬২৯৩ নম্বরে যোগাযোগ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, পরিস্থিতি বিবেচনায় ভবিষ্যতে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। বর্তমানে সক্রিয় নজরদারির মাধ্যমে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।