আনিস আলমগীর, অভিনেত্রী শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৫ এএম
সাংবাদিক আনিস আলমগীর এবং অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। ছবি : সংগৃহীত
সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্সের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে অভিযুক্ত অন্য দুজন হলেন মারিয়া কিশপট্ট ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোহাম্মদ রফিক আহমেদ অভিযোগ গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এটি একটি সাইবার–সম্পর্কিত ইস্যু। অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাথমিক সত্যতা যাচাই ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পেলে বিষয়টি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্যেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে অবস্থান করে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অভিযোগে দাবি করা হয়, অভিযুক্তরা এসব কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত।
আরো পড়ুন : ডিবি হেফাজতে সাংবাদিক আনিস আলমগীর
অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে অভিযুক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচারণা চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, অভিযুক্তদের এসব বক্তব্য ও অনলাইন কার্যক্রমের ফলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা উসকানি পাচ্ছে। এর পরিণতিতে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, সহিংসতা এবং অবকাঠামো ধ্বংসের মতো কর্মকাণ্ডে তারা জড়িয়ে পড়ছে।
এদিকে, একই রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ডিবি প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
পুলিশ সূত্র জানায়, ধানমন্ডি এলাকার একটি জিম থেকে বের হওয়ার পর আনিস আলমগীরকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। তবে ওই জিমের ম্যানেজার আরেফিন গণমাধ্যমকে জানান, সন্ধ্যার দিকে আনিস আলমগীর জিমে আসেন এবং ব্যায়াম শেষে রাত ৮টার দিকে চলে যান। জিমের ভেতরে কোনো পুলিশ সদস্য তিনি দেখেননি বলেও জানান।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিভিন্ন টেলিভিশন টক শোতে দেওয়া বক্তব্যের কারণে সাংবাদিক আনিস আলমগীর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন।
