জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সামনের কাতারে থাকা কিছু মানুষ যা ইচ্ছা তাই বলবে তবে তা মেনে নেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। সোমবার (৪ নভেম্বর) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।

বিপ্লবের নতুন নতুন দোকান খোলা হচ্ছে মন্তব্য করে নুর বলেন, ‘নতুন নতুন তাত্ত্বিক তৈরি হচ্ছে। কিছু মানুষ গণঅভ্যুত্থানে সামনে ছিল বলে তারা যা ইচ্ছা তাই বলবে আমরা সেটা মেনে নেব না।’

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ৫ আগস্টের পর বিপ্লবী সরকার গঠনের অবাধ সুযোগ ছিল, কিন্তু ছাত্ররা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি।

নুর অভিযোগ করে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৩ মাসে প্রশাসন থেকে ৩ হাজার ফ্যাসিস্টও সরাতে পারেনি। গণহত্যায় জড়িত দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না বলে আশা করি।

আরো পড়ুন: সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন কমিটি, ঠাঁই পাননি মধ্যনগরের কোনো নেতা

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া সম্ভব নয় মন্তব্য করে নুর বলেন, সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে, রাজনৈতিক দলের পরামর্শ ছাড়া যেন তারা কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত না নেয়, তাহলে বড় সংকট তৈরি হবে।

দলীয় কার্যালয়ে আগুন হামলার মতো যে কোনো মব জাস্টিস মানবতাবিরোধী অপরাধ মন্তব্য করে গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘সংঘাতকে আমরা সমর্থন করি না। কিন্তু যেখানে আওয়ামী লীগের জায়গা নেই, সেখানে জাতীয় পার্টিরও জায়গা নেই। প্রশাসন কেন জাপা অফিস বন্ধ করে দেয় না?

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনার সময় বিভিন্ন সংকট দেখা যাচ্ছে। প্রশাসন এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।

রাষ্ট্রপতি অবৈধ হলে অন্তর্বর্তী সরকার অবৈধ হয়ে যেতে পারে মন্তব্য করে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির অপসারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। এই সরকার এখনো কোনো রূপরেখা দিতে পারেনি। রাজনৈতিক দলগুলোকে দূরে রেখে সংস্কার সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।