অন্তর্বর্তী সরকারকে ডা. জাহিদ
দায়িত্ব নেয়ার পর আপনারা সুর পাল্টে কথা বলছেন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৪ পিএম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। ছবি: ভোরের কাগজ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, অনেক মানুষের রক্তের ওপর পা রেখে আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) ক্ষমতায় বসেছেন। কোনো অবস্থায়ই নিজেদের অসীম ভাববেন না। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মরহুম রুহুল আমীন গাজীর স্মরণে আয়োজিত নাগরিক শোকসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাহিদ বলেন, বিগত ১৬ বছর ধরে যারা মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে ঘুরেছেন, সে মামলাগুলো এখনও কেন নিষ্পত্তি করা হচ্ছে না? এসব মামলা তুলে নেয়ার জন্য কেন তাদের কোর্টের বারান্দায় ঘুরতে হবে? আপনারা এখন দায়িত্ব নেয়ার পর সুর পাল্টে কথা বলছেন। আইনকানুনের কথা বলছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ওয়ান/ইলেভেনের প্রেতাত্মারা ঘিরে ধরেছে। হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগীদের চারপাশে বসিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে সজাগ না হলে এবং প্রতিহত করা না গেলে ফের দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন: পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহর গড়তে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই
অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে নিয়ে সরকার চালাচ্ছেন মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, সেজন্যই আজ এই অবস্থা। সরকারের বয়স এখন দুই মাস হয়ে যাচ্ছে। এদের থেকে বের হয়ে না এলে ওরা আপনাদেরও গিলে খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমানকে হাজিরা দেয়ার পর জেলে যেতে হবে এমন স্বাধীনতা তো আমরা চাইনি। দুর্নীতিবাজ, অপরাধীদের সরকার খুঁজে পায় না শুধু মাহমুদুর রহমানকে জেলে পাঠাতে পারে।
প্রয়াত রুহুল আমীন গাজীর স্মরণে ডা. জাহিদ আরো বলেন, তিনি মানবিক গুণাবলির মানুষ ছিলেন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পেছনে কে আছেন সেটি খেয়াল রাখেননি। সবসময় সাহস নিয়ে চলেছেন। সাংবাদিকদের যে কোনো দাবি আদায়ে তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন। তাকে যখন জেলখানায় নেয়া হয়েছে, তখন খুব অসুস্থ ছিলেন। সরকার তাকে চিকিৎসা দেয়নি। ফলে তার অসুখ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তাকে ফ্যাসিস্টরা মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। এখনো স্বাধীনতা আসেনি। মানবাধিকার, আইনের শাসন নিশ্চিত হলেই রুহুল আমীন গাজীর আত্মা শান্তি পাবে।
এ সময় সিনিয়র সাংবাদিক, সাংবাদিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতারাও স্মরণসভায় স্মৃতিচারণ করেন।