বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতার সম্ভাবনা দেখছে এনসিপি
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–এর শীর্ষ নেতারা। একইভাবে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও সমঝোতার সম্ভাবনা দেখছেন তাঁরা। তবে শেষ পর্যন্ত কারও সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা হবে কি না এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৭২টিতে ইতোমধ্যে প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। এতে এনসিপির সঙ্গে আসন সমঝোতার সুযোগ সংকুচিত হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। কারণ, এনসিপির শীর্ষ নেতাদের সম্ভাব্য নির্বাচনী আসনগুলোতে বিএনপি ইতোমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ওই আসনগুলোতে জামায়াতও আগে থেকেই প্রার্থী দিয়েছে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি জোট বা আসন সমঝোতা নিয়ে বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
আরো পড়ুন : আরো পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১ এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেন রংপুর-৪ আসনে দলীয় মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। শীর্ষ পর্যায়ের অন্যান্য নেতাদের মধ্যে মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী (ঢাকা–১৮), সারজিস আলম (পঞ্চগড়–১), হাসনাত আবদুল্লাহ (কুমিল্লা–৪), আবদুল হান্নান মাসউদ (নোয়াখালী–৬), আরিফুল ইসলাম আদীব (ঢাকা–১৪) ও তাসনিম জারা (ঢাকা–৯) নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
গত ৩ নভেম্বর বিএনপি প্রথম দফায় ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে। তখন ঢাকা–৯ ও ঢাকা–১৮ আসনে কোনো নাম দেয়নি। তবে ৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় আরো ৩৬ প্রার্থী ঘোষণার সময় ওই দুই আসনও অন্তর্ভুক্ত করে। এতে বিএনপি–এনসিপি সমঝোতার সম্ভাবনা শেষ বলে অনেকে মনে করলেও এনসিপির শীর্ষ নেতাদের ধারণা—মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত অনেক কিছুই পরিবর্তন হতে পারে।
জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী জোট বা আসন ভাগাভাগির আলোচনাও চলছে। গত ১০ অক্টোবর এনসিপির নির্বাহী কাউন্সিলের এক সভায় নেতাদের একটি অংশ জামায়াতের সঙ্গে জোটে যাওয়ার পক্ষে মত দেয়, যা তারা এখনো ধরে রেখেছে।
দলীয় সূত্র জানায়, জামায়াতসহ কয়েকটি ইসলামপন্থী দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রয়েছে এনসিপির। এসব জোট বা সমঝোতার লাভ–ক্ষতি বিশ্লেষণ করছেন নীতিনির্ধারকেরা।
এ ছাড়া নভেম্বরের শেষ দিকে এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও গণ অধিকার পরিষদকে নিয়ে একটি নতুন নির্বাচনী জোট তৈরির উদ্যোগে যুক্ত হয়েছিল এনসিপি। শাহবাগে ২৭ নভেম্বর ওই জোটের ঘোষণা দেওয়ার কথা থাকলেও মতভেদের কারণে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
জোট হবে কি না—এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দুই দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, জোট গঠিত না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
এককভাবে নির্বাচন নাকি বড় কোনো দলের সঙ্গে সমঝোতা, এনসিপির অবস্থান জানতে চাইলে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, আগামী দু–তিন দিনের মধ্যে ৩০০ আসনে আমাদের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হবে। আমরা এককভাবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত বিভিন্ন দলের সঙ্গে আসন সমঝোতার সম্ভাবনা রয়েছে।
