মালয়েশিয়ায় কাজ করেও বেতন নেই, অনাহারে ২শ বাংলাদেশি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ১০:২৪ এএম

বৈধ কর্মীকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে দেশেও ফেরত পাঠিয়েছে কাওয়াগুচি নামের একটি কোম্পানি।
মালয়েশিয়ায় কাজ করেও পাঁচ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না ২শ বাংলাদেশি শ্রমিক। বেতন চাইতে গেলে দেই দিচ্ছি করে সময় পার করছে মালিক পক্ষ। প্রতিবাদ করায় কয়েক বৈধ কর্মীকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে দেশেও ফেরত পাঠিয়েছে কাওয়াগুচি নামের একটি কোম্পানি। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) প্রতিষ্ঠানটির বাইরে বিক্ষোভ করায় উল্টো হুমকি ধামকি দেয়া হয়। সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতা চেয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এসব শ্রমিকদের ৩ ঘণ্টা ওভার টাইমসহ প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা করে কাজ করিয়ে নিচ্ছেন কাওয়াগুচি নামের এই কোম্পানি। এমন অবস্থায় থাকা-খাওয়াসহ নানা সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই।
সহায় সম্বল বিক্রি করে কেউবা আবার চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ করে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে মালয়েশিয়ায় আসেন প্রায় ২শ বাংলাদেশি শ্রমিক। প্রত্যেকেরই স্বপ্ন ভালো রোজগার করে পরিবারে স্বচ্ছলতা আনা।
আরো পড়ুন : মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের জরুরি বিজ্ঞপ্তি
কাজে যোগদানের প্রথম দিকে ধাপে ধাপে চার মাসের বেতন পরিশোধ করলেও সবশেষ পাঁচ মাসের বেতন আটকে দিয়েছেন নিয়োগকর্তারা। এমনকি বেতন না দিয়ে উল্টো হুমকি ধামকি দেয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বকেয়া বেতনের দাবিতে কোম্পানির চত্বরে জড়ো হন শ্রমিকরা।
এর আগে, পাওনা বেতন পাওয়ার দাবিতে অবস্থান নেয়ায় দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সাহায্য নিয়ে ৪ বাংলাদেশিকে ৫ বছরের জন্য ব্ল্যাক লিস্ট করে দেশে ফেরতও পাঠায় কোম্পানিটির নিয়োগকর্তারা।
ভুক্তভোগী এক শ্রমিক বলেন, আমদের আশ্বাস দেয়া হয়েছিল যে প্রত্যেক মাসের বেতন ঠিক সময়ে দেয়া হবে। কিন্তু তারা সে আশ্বাস রাখছে না। এই অবস্থায় আমরা দেশ থেকে যে ঋণ করে এসেছি সেই ঋণ পরিশোধ করার সক্ষমতা আমাদের নেই। কোম্পানির কাছে এ বিষয়ে বলা হলেও তারা গড়িমসি করে। এমনকি উল্টো দেশে ফেরত পাঠানোরও হুমকি দেয়া হয়।
বাংলাদেশের কয়েকটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় আসার পর দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে অনেককে আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। চাকরির পাশাপাশি প্রতারক কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের। শ্রমিকদের এসব সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ দূতাবাসকে দ্রুত এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।