অঙ্কুশ-মিমির কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
‘ওয়ানএক্সবিট’ নামে একটি বেআইনি বেটিং অ্যাপের মাধ্যমে কোটি কোটি রুপির প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নতুন মোড় নিয়েছে তদন্ত। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) মাসখানেক আগে এ ঘটনায় ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে, যেখানে একাধিক অভিনেতা, নেটপ্রভাবী ও সাবেক ক্রিকেটারের নাম উঠে আসে।
মামলার তালিকায় আগে থেকেই ছিলেন দক্ষিণী তারকা রানা দগ্গুবতী, বিজয় দেবেরাকোন্ডা, কপিল শর্মাসহ বেশ কয়েকজন পরিচিত মুখ। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন টালিউড অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা ও অভিনেত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মিমি চক্রবর্তী। এর আগে এই মামলায় কোনো টালিউড তারকার নাম প্রকাশ্যে আসেনি।
তদন্তে নেমে ইডি একাধিক তারকার সংশ্লিষ্টতার তথ্য পায়। প্রায় দুই মাস আগে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় মিমি চক্রবর্তী ও অঙ্কুশ হাজরাকে। বেআইনি বেটিং অ্যাপকাণ্ডে তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ সামনে আসার পর মামলাটি নতুন দিকে মোড় নেয়। শুধু এই দুই তারকাই নন, মামলায় সংশ্লিষ্ট আরও একাধিক তারকার সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরো পড়ুন : আমি থেমে থাকি না: শাকিব খান
এর আগেও একই মামলায় সাবেক ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের কাছ থেকে ৪ কোটি ৫০ লাখ রুপি এবং সুরেশ রায়নার কাছ থেকে ৬ কোটি ৬৪ লাখ রুপির মিউচুয়াল ফান্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। যদিও মামলায় তলব হওয়া প্রায় সবাই দাবি করেছেন, তারা আর্থিক তছরুপ সম্পর্কে অবগত ছিলেন না এবং নির্দিষ্ট চুক্তির ভিত্তিতেই সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞাপন বা প্রচারমূলক কাজে যুক্ত ছিলেন।
দুর্গাপূজার আগে আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়েন অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। বেআইনি বেটিং অ্যাপকাণ্ডে বিপাকে পড়েন তিনি, মিমি চক্রবর্তী ও সাবেক ক্রিকেটার যুবরাজ সিংসহ আরো কয়েকজন তারকার সঙ্গে। এ ঘটনায় তাদের কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অঙ্কুশ হাজরা বলেন, এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না, কারণ পুরো বিষয়টি তার আইনজীবী দেখছেন।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযোগ, বেআইনি বেটিং অ্যাপগুলোর হয়ে প্রচার চালানোর বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট তারকারা আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন। তদন্তকারীদের ধারণা, এসব অ্যাপের মাধ্যমে অবৈধভাবে কয়েক কোটি রুপি আয় করা হয়েছে এবং নজর এড়াতে হাওয়ালার মাধ্যমে সেই অর্থ ঘোরানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ১৯ কোটি ৭ লাখ রুপি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে সাবেক ক্রিকেটার যুবরাজ সিংয়ের কাছ থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ রুপি, রবিন উথাপ্পার কাছ থেকে ৮ লাখ ২৬ হাজার রুপি, অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলার কাছ থেকে ২ কোটি ২ লাখ রুপি, অভিনেত্রী নেহা শর্মার কাছ থেকে ১ কোটি ২৬ লাখ রুপি, অভিনেতা সোনু সুদের কাছ থেকে ১ কোটি রুপি, অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর কাছ থেকে ৫৯ লাখ রুপি এবং অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার কাছ থেকে ৪৭ লাখ ২০ হাজার রুপির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
