মাইগ্রেনের ব্যথা কমাবে ঘরোয়া টোটকা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ এএম

ব্যথানাশক সব ওষুধ নিরাপদ ও সুরক্ষিত নয়। ছবি : সংগৃহীত
মাইগ্রেন সারতে মুঠো মুঠো ওষুধ খাওয়াই একমাত্র সমাধান নয়। বরং এমন কিছু দামি ওষুধ বাজারে আছে যা ব্যথা তো সারাতে পারেই না, উল্টে বিভিন্ন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণ হয়ে উঠছে। গবেষকদের মতে, চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে নিজে থেকে ওষুধ কিনে খেলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। এমন অনেকেই আছেন, যারা ব্যথা শুরু হলেই দোকান থেকে ব্যথানাশক ওষুধ কিনে খেয়ে ফেলেন। ওষুধের ডোজ কী, কখন খেতে হবে তা না জেনেই। ওষুধ না খেয়ে বরং নিয়ম মেনে চলারই পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিজ্ঞানীও আছেন এই গবেষণায়। তারা দাবি করেছেন, ব্যথানাশক সব ওষুধ নিরাপদ ও সুরক্ষিত নয়। বেশি ডোজ় খেয়ে ফেললে নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
মাইগ্রেন হল ‘নিউরোলজিক্যাল’ রোগ। চিকিৎসকেরা বলেন, মাথার এক দিকেই ব্যথা হয় বেশি। সারাক্ষণ দপদপ করতে থাকে। সাধারণত ৪৮ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা অবধি ব্যথা থাকতে পারে। মাইগ্রেনের ব্যথার অনেক রকম লক্ষণ আছে। সবার ক্ষেত্রে তা সমান নয়। কাজেই একই ওষুধ সকলের ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে তা না-ও হতে পারে। তার চেয়ে কিছু নিয়ম মানলেই ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
কী কী সেই নিয়ম?
১. একটি ভিজে তোয়ালে মিনিট পনেরোর জন্য ফ্রিজে রাখুন। ব্যথা শুরু হলেই ওই ঠান্ডা তোয়ালে মাথায় ও চোখের ওপর রেখে দিন। ব্যথা অনেক কমে যাবে।
২. চন্দন জল দিয়ে গুলে ব্যথার জায়গায় লাগালেও আরাম পাওয়া যাবে। চন্দন খুব ঠান্ডা। এই মিশ্রণের প্রলেপ লাগালে যন্ত্রণা অনেক কমে যাবে।
৩. মোবাইল, টিভির পর্দায় চোখ রাখা চলবে না। চোখকে বিশ্রাম দিতে হবে। কম্পিউটারের সামনে বসে দীর্ঘ ক্ষণ কাজ করার অভ্যাস থাকলে মাঝে মাঝেই উঠুন। চোখে পানি দিন।
৪. মাইগ্রেন শুরু হলে বমি বমি ভাব আসে, শরীরে অস্বস্তি শুরু হয়। এই সমস্যা দূর করতে আদা চায়ে চুমুক দিতে পারেন। আদার অ্যান্টি-ইমফ্ল্যামেটরি গুণ আছে। প্রদাহ কমিয়ে ব্যথা সারাতে পারে।
৫. বাঁধাকপির ম্যাগনেশিয়াম, ওমেগা ৩ ও ফাইবার, বাঁধাকপির স্যুপ ও স্মুথি বা সালাদ। এসব খাবার মাইগ্রেনের ব্যথা কমায়। এছাড়া রয়েছে গাজর ও মিষ্টি আলু। গাজর ও মিষ্টি আলুতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। আরো রয়েছে ভিটামিন সি, বি২, বি৬, নিয়াসিন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ ও ফসফরাস, যা ব্যথা দূর করে।
৬. মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে চেরি ফলের জুসও বেশ উপকারী। চেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনলস নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। চেরি স্ট্রেস দূর করে, মাথাব্যথা কমায়।
৭. মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে আরেকটি বিশেষ খাবার হচ্ছে মাশরুম। মাশরুমে ম্যাগনেশিয়াম ও রিবোফ্লোবিন থাকায় মাইগ্রেন কমে।
৮. চকলেট, অ্যালকোহল, ডিম, দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্য, পেঁয়াজ, টমেটো, ময়দার রুটি মাইগ্রেনের অ্যাটাকের সময় ভুলেও খাবেন না।