সুদানে আরএসএফের হামলায় নিহত অন্তত ৩০

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৫৩ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
আফ্রিকার দেশ সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর এল-ফাশারে আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। হামলায় আরো অনেকে আহত হয়েছেন।
শনিবার (১১ অক্টোবর) বাস্তুচ্যুতদের এক আশ্রয়কেন্দ্রে এ হামলা চালানো হয় বলে স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে। খবর এএফপির।
এল-ফাশার প্রতিরোধ কমিটি জানায়, শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থিত দার আল-আরকাম বাস্তুচ্যুত শিবিরে এ হামলা হয়। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন এবং ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে অনেকের মরদেহ চাপা পড়ে আছে। তারা এ ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।
সুদানে স্থানীয় প্রতিরোধ কমিটিগুলো সাধারণত সংঘাতের মধ্যে ত্রাণ তৎপরতা সমন্বয় ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য সংগ্রহের কাজ করে। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে দেশটিতে আরএসএফ ও সরকারি সেনাবাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে। এ পর্যন্ত এই সংঘাতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া প্রায় আড়াই কোটি মানুষ তীব্র খাদ্যসংকটে পড়েছেন।
আরো পড়ুন : নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ হামলায় সেনাসদস্যসহ নিহত ৫৫
দারফুর অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় আরএসএফের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা শেষ প্রাদেশিক রাজধানী এল-ফাশার বর্তমানে যুদ্ধের কৌশলগত কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আধা-সামরিক বাহিনী সেখানে নিজেদের আধিপত্য সুসংহত করার চেষ্টা করছে।
মানবাধিকারকর্মীরা জানিয়েছেন, শহরটি এখন ক্ষুধার্ত বেসামরিক নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। আরএসএফের অবরোধ চলার প্রায় ১৮ মাস পেরিয়ে গেছে, আর এই সময়ের মধ্যে ৪ লাখের বেশি বেসামরিক নাগরিকের আবাসস্থল এল-ফাশারে প্রায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ফুরিয়ে গেছে।
পশুখাদ্যের ওপর নির্ভর করে এতদিন বেঁচে থাকা পরিবারগুলো এখন সেটিও পাচ্ছে না। এক বস্তা পশুখাদ্যের দাম এখন কয়েকশ মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। স্থানীয় প্রতিরোধ কমিটিগুলোর দাবি, খাবারের অভাবে শহরের বেশিরভাগ স্যুপ কিচেন বন্ধ হয়ে গেছে।