গণতন্ত্র না ফিরলে রাষ্ট্র ব্যর্থ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে : বিএনপি মহাসচিব
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:১৯ পিএম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ঐতিহাসিক রায়ের দিনে দেশে তৈরি হওয়া ‘মবক্রেসি’-র আবহকে পরিকল্পিত বিভ্রান্তি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সতর্ক করে বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া দেশের কোনো ভবিষ্যৎ নেই এবং রাষ্ট্র ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) গুলশানের একটি হোটেলে ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে বিএনপি’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার’ বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার সময়ই দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করে জনদৃষ্টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, এই মবক্রেসি কীসের লক্ষণ জানি না, তবে আমার মনে হয়েছে, রায়ের গুরুত্ব কমিয়ে দিতে একটি মহল সচেতনভাবে ভিন্ন পরিবেশ তৈরি করছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি কোনো বিপ্লবী সংগঠন নয়; এটি একটি লিবারেল ডেমোক্রেটিক দল, যা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই দীর্ঘদিন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়া থেকে বাঁচাতে বিচার বিভাগ, সাংবাদিকতা, পার্লামেন্ট ও আইনের শাসনসহ সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীন ও কার্যকর করার ওপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
সংস্কার ইস্যুতে বিভ্রান্তি তৈরির অভিযোগ এনে মির্জা ফখরুল বলেন, আজ যদি কেউ দাবি করেন তিনি এককভাবে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন এটা সংকীর্ণতা ছাড়া কিছু নয়। বহু বছর ধরেই ১০, ২৭ ও ৩১ দফার মাধ্যমে বিএনপি সংস্কারের রূপরেখা তুলে ধরছে। এখন একটি মহল এটিকে ভিন্ন দিকে নিতে চাইছে।
নির্বাচনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন মানে শুধু ভোট নয়, বরং গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার পথ। আসন্ন নির্বাচনে গণতান্ত্রিক মোর্চা গঠনের দায়িত্ব এখন বিএনপির ওপরই বর্তেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাসির উদ্দিন, ড. ওসমান ফারুকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
