×

অপরাধ

বাবলা হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম

বাবলা হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ

নিহত সরোয়ার হোসেন বাবলা। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রামে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনি প্রচারণায় প্রকাশ্যে গুলি করে সরোয়ার হোসেন বাবলাকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৪–১৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় নিহত বাবলার বাবা আবদুল কাদের বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে শুক্রবার ভোরে চান্দগাঁও থানার হাজীরপুল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত আরেকজনকে অক্সিজেন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সরোয়ার বাবলাকে হত্যায় অংশ নেওয়া চারজনের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চিত হয়েছে। তারা হলেন, রাউজানের বদিউল আলমের ছেলে রায়হান (৩৫), ফটিকছড়ির মো. মুসার ছেলে মোবারক হোসেন ইমন (২২), খুলশীর খায়রুল আলমের ছেলে বোরহান (২৭) এবং রাউজানের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. খোরশেদ (৪৫)।

নিহতের পরিবার ও পুলিশের দাবি, বড় সাজ্জাদের পরিকল্পনায় চট্টগ্রাম নগরীতে একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। দুই যুগ ধরে বিদেশে বসে চট্টগ্রামের অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করছেন পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী বড় সাজ্জাদ। এক সময় শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় বড় সাজ্জাদ ‘শিবির ক্যাডার’ হিসাবে পরিচিত।

নগরীর পাঁচলাইশ, বায়েজিদ বোস্তামী, বাকলিয়া, চকবাজার এলাকা থেকে জেলার হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় তার পরিকল্পনায় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চলছে। তার নির্দেশে অপকর্মের মধ্যে মুক্তিপণ আদায়, চাঁদাবাজি, বালুমহাল-ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, ভবন নির্মাণে ইট-বালুসহ নির্মাণসামগ্রী সরবরাহে প্রভাব বিস্তার এবং রাজনৈতিক আধিপত্য-সবই ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণে। বড় সাজ্জাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিল ছোট সাজ্জাদ।

আরো পড়ুন : রাউজানে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ 

গত ১৫ মার্চ পুলিশ ঢাকা থেকে সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে। এরপর থেকে সে কারাগারে রয়েছেন। এখন বড় সাজ্জাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসাবে কাজ করছে রায়হান। রায়হানের বিরুদ্ধে ১৪ মাসে ৯টি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তারপরও তাকে গ্রেপ্তার করতে পারছে না পুলিশ। 

সরোয়ার হোসেন বাবলার মৃত্যু নিশ্চিত করতে ঘাতকরা বিদেশি ৭.৬২ বোরের পিস্তল ব্যবহার করে। তাও আবার খুব কাছ থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, সরোয়ারকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে। অস্ত্রের আকার ও আঘাত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এটি শক্তিশালী ৭.৬২ বোর পিস্তলের গুলি। এটি অত্যন্ত শক্তিশালী ও নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। প্রথম তিনটি গুলির পর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বাবলা। পরে আরো কয়েক রাউন্ড গুলি করে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনিরা।

বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা করার পরপরই র‌্যাব অভিযানে নামে। বৃহস্পতিবার ভোরে চান্দগাঁও থানার হাজীপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তারা হচ্ছেন আলাউদ্দিন ও হেলাল উদ্দিন। তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানাতে শুক্রবার দুপুরে র‌্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব। সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার দুজন র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছে। তবে সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীসহ মামলার অন্য আসামিদের সঙ্গে চলাফেরা রয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জানতে রিমান্ডের প্রয়োজন রয়েছে।

এদিকে র‌্যাব কার্যালয়ের সামনে আলাউদ্দিনের বড় ভাই মনজুর আলম বলেন, আলাউদ্দিন যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। শুক্রবার সকালে তাকে বাসা থেকে র‌্যাব সদস্যরা গ্রেপ্তার করে নিয়ে এসেছেন। সে এরশাদ উল্লাহর প্রচারণায় কেন গুলি করবে। তার সঙ্গে বাবলার কোনো দ্বন্দ্ব নেই। একই কথা বলেন মনজুরের সঙ্গে থাকা আলাউদ্দিনের স্ত্রী দোলা আক্তার। তিনি বলেন, আমার স্বামী ব্যবসা করেন। কোনো খারাপ কাজে জড়িন নন। 

বাবলা হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অক্সিজেন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানা গেছে। তবে তার নাম মামলার এজাহারে উল্লেখ নেই। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি জসিম উদ্দিন। তিনি জানান, বাবলা হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তার নাম এজাহারে নেই। তবে তদন্ত তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

শাহবাগে প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১২০

শাহবাগে প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১২০

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৮৩৪ জন

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৮৩৪ জন

প্রেম নিয়ে টিপস দিলেন কোয়েল

প্রেম নিয়ে টিপস দিলেন কোয়েল

নতুন ১৬ নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি

নতুন ১৬ নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App