বিজিএমইএ নির্বাচনে ফোরাম প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১১ পিএম

মাহমুদ হাসান খান
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নিজেদের প্যানেল লিডার বা দলনেতা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট-ফোরাম। সেবা, সততা, সাহস ও সমৃদ্ধি এ নীতিতে চলা ফোরামের দলনেতা মাহমুদ হাসান খান। তিনি রাইজিং ফ্যাশনস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এর আগে বিজিএমইএর সহ সভাপতিসহ পরিচালক পদে যুক্ত থেকে পোশাক খাতে অবদান রেখেছেন মাহমুদ হাসান। তাছাড়া পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বিটিএমএ ও বিকেএমইএ’র।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে-পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে নতুন প্যানেল লিডারকে পরিচয় করিয়ে দেন নির্বাচনকেন্দ্রিক জোটটির শীর্ষ নেতারা। মাহমুদ হাসান খান ছোট পরিসরে এখাতে ব্যবসা শুরু করে, গত প্রায় দুই যুগে কারখানা ও ব্যবসা বাড়িয়েছেন। অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান সিনহা, আনোয়ার-উল-আলম চৌধরী পারভেজ, ড. রুবানা হক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আরো ছিলেন ফোরামের সভাপতি এম এ সালাম ও রশীদ আহমেদ হোসাইনী।
ফোরাম নেতারা এসময় বলছেন, পোশাক খাতের বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে পদক্ষেপ নিতে হবে-বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদকে এজন্য দরকার একজন সুদক্ষ নেতা। যার গতিশীল নেতৃত্বে এখাত এগিয়ে যাবে। মাহমুদ হাসান খান পোশাক শিল্পের স্বার্থে যোগ্য নেতৃত্ব। উদ্যোক্তারা বলছেন, পোশাক শিল্প এক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। শিল্প নানামুখী চ্যালেঞ্জের মুখে। বৈশ্বিক ও স্থানীয় এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে দরকার সাহসী সিদ্ধান্ত। কেবল কার্ডধারী নেতা দিয়ে সংকট উত্তরণ করা যাবে না। দরকার এখাতের প্রয়োজন বোঝার।
এসময় প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান সাংবাদিকদের বলেন, তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন চায়। একই সাথে যারা উদোক্তা ও সংগঠনটির সদস্য তারাই যাতে ভোটার থাকে সেটি নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে জানান, নির্বাচনের আগে একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে প্রশাসক কে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। প্যানেল লিডার বলেন, শ্রমিকরা যাতে রাস্তায় না নামে নির্বাচিত হলে সেটি গুরুত্ব দেবেন। একইসঙ্গে মালিক শ্রমিক সম্পর্ক উন্নয়ন তার অগ্রাধিকার।
এর আগে, ২০ অক্টোবর, একাধিক অভিযোগে বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মূলত বিদায়ী সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা এর নেতৃত্বে ছিলেন। গত মার্চের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে সম্মিলিত পরিষদ থেকে সভাপতি হন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। যদিও ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তাঁকে আর দেখা যায়নি। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা মামলাও হয়েছে। পর্ষদ ভেঙে ১২০ দিনের মধ্যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন পর্ষদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়।