ডোম-ইনো প্রতিষ্ঠানকে বহিষ্কারের দাবি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৩ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
প্রতারণার অভিযোগে রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ডোম-ইনোর নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) থেকে সদস্যপদ বাতিল ও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানান গ্রাহকরা। শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে রিহ্যাব ভবনের নিচে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে ডোম-ইনো রিয়েল এস্টেট কোম্পানির প্রতারণা, ফ্ল্যাট হস্তান্তরে বিলম্ব এবং চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে করা হয়।
মানববন্ধনে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক ও জমির মালিক হুমায়ুন হাসান, আদনান সোবহান, তোবারক হোসেন খান রিয়াদ, ফজলুর রহমান খান, মাইনুল আলম, তন্ময় মঞ্জুর মোরশেদসহ শতাধিক জমি ও ফ্ল্যাট মালিক উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি শেষে ডোম-ইনো নামধারী সব প্রতিষ্ঠানকে সদস্যপদ বাতিল ও স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে রিহ্যাব নতুন কমিটির কাছে দেয়া স্মারকলিপি দেন গ্রাহকরা। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি আদায় না হলে রিহ্যাবের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন তারা।
আরো পড়ুন: বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ : অর্থ উপদেষ্টা
মানবন্ধনে তারা জানান, তিন বছরে ভবন ও ফ্ল্যাট বানানোর কথা বলে গত ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে প্রকল্প বুঝিয়ে না দিয়ে আমাদের সঙ্গে কোম্পানিটি প্রতারণা করে। এমনকি চুক্তিপত্র অনুযায়ী সাইনিং মানি দেয়ার শর্ত থাকলেও সে অর্থ অনেক জমির মালিক এখনো বুঝে পাননি। অন্যদিকে ফ্ল্যাট গ্রহীতাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। আমাদের জীবনের শেষ সম্বল জমিটুকু উন্নয়নের জন্যে ডোম-ইনো রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সঙ্গে ভবন তৈরি ও ফ্ল্যাট কেনার চুক্তি করে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি।
মানববন্ধনে হুমায়ুন হাসানের অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুরের ভাই আব্দুস সালামের মালিকানাধীন কোম্পানিটির বাস্তবায়নাধীন এমন প্রকল্পও আছে, যেখানে চুক্তি সইয়ের এক দশক পরও ভূমি উন্নয়নের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়নি। এ দীর্ঘ সময়েও বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর কাজের অগ্রগতি সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ১০ শতাংশ। অথচ ডোম-ইনো এরই মধ্যে তাদের প্রাপ্য অংশের নির্মাণাধীন প্রায় সব ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিয়েছে। এক ফ্ল্যাট একাধিক ক্রেতার কাছেও বিক্রির অভিযোগ উঠে।