ফিনল্যান্ডে সংসদ ভবনে এমপির রহস্যজনক মৃত্যু!

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১০:২৫ এএম

এমেলি পেলটোনেন। ছবি : সংগৃহীত
ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কির সংসদ ভবনে এমেলি পেলটোনেন নামে এক তরুণ সংসদ সদস্য মারা গেছেন।
তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসি বলছে, ৩০ বছর বয়সী এমেলি পেলটোনেন ছিলেন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এমপি। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তিনি সংসদ ভবনের ভেতরে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এই আকস্মিক মৃত্যুতে ফিনল্যান্ড জুড়ে শোক নেমে এসেছে। রাজনৈতিক বিভাজন ভুলে সব দলের নেতারাই গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্লামেন্টারি গ্রুপের চেয়ারপারসন টিটি তুপুরাইনেন এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি আমাদের অত্যন্ত প্রিয় সদস্য ছিলেন। তাকে আমরা ভীষণভাবে মিস করব। এত অল্প বয়সে এক তরুণ প্রাণের অবসান হলো।
এদিকে সংসদ গ্রীষ্মকালীন অবকাশে থাকলেও এমেলি পেলটোনেনের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী পেত্তেরি অরপো দিনটির বাকি সময়ের জন্য সব সরকারি ও রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন : তীব্র তাপদাহে স্পেনে ১৬ দিনে ১,১৫০ জনের মৃত্যূ
অরপো বলেন, সহকর্মীদের কাছে তিনি অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন। তাকে স্মরণ করে তিনি এক মিনিট নীরবতা পালন করেন বলে জানিয়েছে ফিনল্যান্ডের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম ওয়াইএলই।
সংসদের স্পিকার ইউসি হাল্লা-আহোও এক্সে লিখেছেন, পেলটোনেন ছিলেন একজন প্রিয় সহকর্মী, যিনি সব দলের কাছেই সম্মানিত ছিলেন।
পুলিশ স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৬ মিনিটে সংসদ ভবন এদুস্কুনতাতালোতে পৌঁছায়। তারা জানিয়েছে, কোনও অপরাধমূলক ঘটনার আশঙ্কা নেই। প্রায় তিন ঘণ্টা পর সংসদ কর্তৃপক্ষ এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে পেলটোনেনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় উউসিমা অঞ্চল থেকে নির্বাচিত পেলটোনেন প্রথমবারের মতো ২০২৩ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
খুব অল্প বয়সেই তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি ইয়্যারভেনপা শহরের সিটি কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
এরপর ২২ বছর বয়সে সিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি, যা ওই পদে দায়িত্ব নেওয়া সবচেয়ে কম বয়সী ব্যক্তির রেকর্ড।
গত জুনের শেষ দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেলটোনেন জানান, কিডনির সমস্যা থেকে সংক্রমণের কারণে কয়েক সপ্তাহ তিনি সংসদীয় কাজে অনুপস্থিত ছিলেন।
তখন তিনি লিখেছিলেন, হেলসিঙ্কির মেইলাহতি এলাকায় হাসপাতালে আমাকে শিরায় অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, যা সময়সাপেক্ষ। এখন আমি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছি।
তবে পরিস্থিতির কারণে আমি গ্রীষ্মকালীন চিকিৎসা ছুটিতে আছি এবং পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি।