রাস্তার পাশ থেকে কিশোরীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৯ পিএম

এ ঘটনায় পুলিশ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ছবি : সংগৃহীত
ভারতের হারিয়ানায় রাস্তার পাশ থেকে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক অটোচালকসহ তিন যুবকের বিরুদ্ধে।
খাবারের লোভ দেখিয়ে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় জোর করে তার গর্ভপাতও করিয়ে দেয়া হয়। পুলিশ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে শুক্রবার। খবর আনন্দবাজারের।
হারিয়ানার ফরিদাবাদে জেলা শিশু সুরক্ষা বিভাগের এক কর্মীর কাছ থেকে খবর পেয়ে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, ফরিদাবাদে রাস্তার ধারে ভিক্ষা করত ১৬ বছরের ওই কিশোরী। তার বাড়িতে রয়েছেন মদ্যপ বাবা এবং ছোট ভাই। ভিক্ষা করে যা আয় হতো, তা দিয়েই তিন জনের পেট চালাত কিশোরী।
তার পরিচিত এক অটোচালক প্রায়ই তাকে খাবার দিতেন, জানতে পেরেছে পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গেও তিনি জড়িত।
আরো পড়ুন : কলকাতায় চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলার রায় আজ
কিছু দিন আগে কিশোরী তার ভাইকে খুঁজে পাচ্ছিল না। অভিযোগ, ভাইকে খুঁজে দেয়া এবং কিশোরীকে খাবার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন অটোচালক।
কিশোরী অটোয় উঠে বসলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বাড়িতে। সেখানেই অটোচালক এবং তার এক সঙ্গী মিলে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এরপর এক প্রতিবেশীও তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা কাউকে না-জানানোর কথা বলে তিন জনই কিশোরীকে হুমকি দেন।
পুলিশ জানায়, কিছু দিন আগে কিশোরীকে আবার ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক পরীক্ষার পর জানা যায়, সে অন্তঃসত্ত্বা। এর পর তার গর্ভপাত করানো হয়। কিন্তু গর্ভপাতের ধকলে কিশোরীর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তখনই খবর পৌঁছায় শিশু সুরক্ষা দপ্তরে।
ওই দপ্তরের কর্মী প্রদীপ কুমার তিন অভিযুক্তের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের বিরুদ্ধে কিশোরীর বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। তার পরেই শুক্রবার তিন জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করা হয়েছে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।